জুনিয়র ডাক্তারদের ভাইফোঁটা দিতে চান এই অভিনেত্রী..

জুনিয়র ডাক্তারদের ভাইফোঁটা দিতে চান এই অভিনেত্রী..

কলকাতা: আরজিকর কাণ্ডে বিচার চেয়ে, প্রতিবাদই তাঁদের উৎসব। পুজো আগেই একথা স্পষ্ট জানিয়েছিলেন অনশনকারী চিকিৎসকেরা। যেমন কথা, তেমন মেনে চলা। ভরা পুজোয় যখন শহর ভাসছে, তখন তাঁরা অনশন করে দিন কাটাচ্ছেন। কেউবা আবার ছিলেন চিকিৎসাধীনরত অবস্থায় হাসপাতালে। এভাবেই কেটেছে আজ অবধি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে অবশেষে অনশন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এদিকেই প্রতিবাদের প্রথম থেকেই তাঁদের পাশে থেকে সরব ছিলেন বাংলার অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। স্লোগানে স্লোগানে কখনও রাস্তায়। কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায়। গেয়েছেন প্যারোডি। এদিকে এখন দুর্গা পুজো শেষ। সামনে কালীপুজো। ভাইফোঁটা। এবার টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী নিজের ফেসবুক পেজে একটি ব্যাতিক্রমী পোস্ট করে তাঁর ইচ্ছেপ্রকাশ করেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের ভাইফোঁটা দিতে চান এই অভিনেত্রী।

আজ্ঞে হ্যাঁ, ফেসবুক পেজে শ্রুতি পোস্ট করে জানিয়েছেন, ‘ এবছর আমার ভাই, দাদারা কেউ, ভাইফোঁটাতে আমার কাছে থাকতে পারছে না। কিঞ্জল নন্দ এবং তাঁর সহযোদ্ধা কয়েকজন ডাক্তার দাদা ভাইদের ফোঁটা দিতে চাই। আমার সাথে কারোর আলাপ নেই। বার্তাটা একটু পৌঁছে দেবেন, আমি সেদিন পৌঁছে যাবো। ইচ্ছে আছে, বাকিটা ভাগ্য।’এর আগে সোশ্যালে আরজিকর ইস্যুতে অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘যে মেয়েটার নভেম্বরে বিয়ে, তাঁর কিন্তু মেহেন্দি আটিস্ট, মেক আপ আর্টিস্ট ঠিক করা হয়ে গেছিল। তত্ত্বের জিনিস কেন হয়ে গিয়েছিল। ফটোগ্রাফার ঠিক করা হয়ে গিয়েছিল। ব্যাঙ্কোয়েট বুক হয়ে গিয়েছিল। একমাত্র মেয়েটা বাবা মাকে ছেড়ে কীভাবে থাকবে হয়তো পেশেন্ট দেখার ফাঁকে ফাঁকেও ভেবে চলত। সেই রাতে মাকে ঘুমতে বলেও ভেবেছে, বিয়ের পর সবদিক সামলাতে পারবে তো এভাবেই !

শ্রুতির সংযোজন, বেনারসিটা হয়তো কেনা বাকি ছিল, দিন রাত হয়তো হবু বর এর মাথা খেত, নাকে যেনও সিঁদুর, নাহলে কিন্তু ভাল ছবি আসবে না । হয়তো হানিমুনের টিকিট হয়ে গিয়েছিল। তাঁদের পছন্দের পাহাড়ে যাবে নাকি সমুদ্র ? নাকি পশু ঘেরা জঙ্গলে ! পাগলিটা বোঝেনি এখানে থাকে দানব  ! এখানে মানুষ, মানুষকে ছিঁড়েখুঁড়ে খায়। সাথে স্বপ্নগুলিও গিলে নেয় ! ঘুম হচ্ছে? আমার হচ্ছে না !!’

(Feed Source: abplive.com)