‘গণহত্যার পক্ষে, ফ্যাসিবাদের দোসর’ এবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ইস্তফার দাবি

‘গণহত্যার পক্ষে, ফ্যাসিবাদের দোসর’ এবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির ইস্তফার দাবি

এতদিন ছিল দফা এক  দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ। সেই শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশে নেই। তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। এদিকে এবার রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিনকে সরানোর দাবি উঠতে শুরু করেছে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যের পরেই এবার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি উঠল বাংলাদেশে। ছাত্র সংগঠনগুলি ঢাাকায় এনিয়ে দাবি তুলেছে।

এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের চাপে একদিন বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য় হয়েছিলেন হাসিনা। এবার সেন্ট্রাল শহিদ মিনারের সামনে মিছিল করল ছাত্র সংগঠন । তাদের দাবি রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিনকে সরাতে হবে।

প্রতিবাদকারী নাসির উদ্দিন পাটোয়ারি বলেন, রাষ্ট্রপতি ফ্যাসিজমের একজন শরিক। তিনি গণহত্যার পক্ষে ছিলেন। তার ইস্তফা চাই।

স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির দাবি সাহাবুদ্দিনকে পদত্যাগ করতে হবে। একটি বিদ্রোহী সরকার তৈরি করতে হবে। তাদের দাবি এবার রাষ্ট্রপতিকেও আন্দোলনের ঝাঁঝ সহ্য করতে হবে। হাসিনার আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিও উঠছে।

রফিক খান, আন্দোলনকারীদের নেতা জানিয়েছেন, সাহাবুদ্দিন একজন অপরাধী। তিনি বেআইনিভাবে হাসিনাকে বসিয়েছিলেন। তাঁকে অনুরোধ করছি আপনি পদত্যাগ করুন। বঙ্গভবন ত্যাগ করুন। না হলে সেই জুলাই আন্দোলনের মতো আন্দোলন শুরু হবে।

কী বলেছিলেন সাহাবুদ্দিন?

মানব জমিনের রাজনৈতিক ম্যাগাজিন জনতার চোখ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল এই লেখাটি।

তিনি বাংলাদেশের ওই পত্রিকার সাংবাদিককে বলেছিলেন, গত ৫ অগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বঙ্গভবনে একটা ফোন আসে। বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে আসতে চাইছেন। এরপরই বঙ্গভবনে প্রস্তুতি শুরু হয়। তার এক ঘণ্টা পরে ফোন করে বলা হয় তিনি আসছেন না।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেছিলেন, আমি জানতাম না কী হয়েছে। আমি গুজবের উপর নির্ভর করতে পারি না। এরপর মিলিটারি সেক্রেটারি জেনারেলকে বলি কী হয়েছে জানতে। তার কাছেও খবর ছিল না। আমরা টিভিতে নজর রাখছিলাম। তবে সেখানেও কোনও খবর নেই। সেই সময় জানতে পারলাম তিনি দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তিনি আমায় কিছু বলেননি। আমি আপনাকে এটাই বলছি যেটা সত্যি। এরপর আর্মি চিফ জেনারেল বঙ্গভবনে আসেন। আমি তাঁকে প্রশ্ন করি প্রধানমন্ত্রী কি পদত্য়াগ করেছেন? তিনি একই উত্তর দেন, আমি শুনেছি তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি হয়তো জানানোর সময় পাননি।

শাহবুদ্দিন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একদিন ক্যাবিনেট সচিব সেই ইস্তফাপত্রটি নিতে এসেছিলেন, আমি তাঁকে বললাম আমি সেটাও খুঁজছি। রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, এনিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এটা সত্যি।আমি এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছিলাম। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করা যেতে পারে। সাংবিধানিক শূন্যতা দূর করার জন্য় এটা তৈরি করা যেতে পারে।

(Feed Source: hindustantimes.com)