জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জামিন পেল একদা মুম্বইয়ের ত্রাস ছোটা রাজন। হোটেল মালিক জয়া শেট্টি হত্যা মামলায় বুধবার বম্বে হাইকোর্টে জামিন পেল এই গ্যাংস্টার। যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা রদ করার পাশাপাশি উচ্চ আদালত ওই মামলায় জামিনও দিয়েছে তাকে। তবে জামিন পেলেও জেলমুক্তি নয়, আপাতত জেলেই থাকবে ছোটা রাজন।
দীর্ঘদিন বিদেশে আত্মগোপন করে থাকা ছোটা রাজন একাধিক মামলায় মুম্বইয়ের জেলে বন্দি। জয়া শেট্টি হত্যা মামলায় জামিনের পর সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে এই জামিনের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে অচিরেই জেল থেকে মুক্তি পেতে পারে এই মাফিয়া ডন। হোটেল মালিক জয়া শেট্টি হত্যাকাণ্ড ২০০১-এর ঘটনা। এ বছর ৩০ মে মুম্বইয়ের একটি বিশেষ আদালত ছোটা রাজন-সহ কয়েকজন অপরাধীকে যাবজ্জীবন সাজা দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করে বুধবার যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা থেকে মুক্তি পেল এই অপরাধী।
বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রেবতি মোহিতে দেড়ে এবং বিচারপতি পৃথ্বীরাজ চৌহানের ডিভিশন বেঞ্চ দাউদের এই প্রাক্তন সঙ্গীর জামিন মঞ্জুর করে। এক লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্তসাপেক্ষে রাজনকে জামিন দিয়েছে আদালত। তবে জামিন পেলেও আপাতত জেলমুক্তি হচ্ছে না তার। অন্যান্য মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এখনও তাকে জেলেই থাকতে হবে।
৬৪ বছর বয়সী ছোটা রাজনের আসল নাম রাজেন্দ্র সদাশিব নিকালজে। মুম্বইয়ের চেম্বুরে বাসিন্দা রাজেন্দ্র সদাশিব অপরাধ জগতে আসার পর নিজের নাম বদলে ছোটা রাজনে বদলে নেয়। সিনেমার টিকিট ব্ল্যাক করে অপরাধ জগতে নাম কেনার পর দাউদ ইব্রাহিমের সংস্পর্শে আসে এই অপরাধী। মুম্বই দাঙ্গার পর দাউদ দেশ ছাড়লে গ্যাংস্টার ছোটা রাজনের অপরাধ সামাজ্যেও পতনের শুরু হয়। অপরাধমূলক কাজকর্মে যোগ, খুন, তোলাবাজি, মাদক পাচার-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে এই কুখ্যাত মাফিয়ার বিরুদ্ধে। বেশ কয়েক বছর অস্ট্রেলিয়াতেও গা ঢাকা দিয়েছিল রাজন। এরপর দুবাই এবং পরে ইন্দোনেশিয়ায় আত্মগোপন করে। সেখান থেকেই মাফিয়ারাজ চালাত সে।
২০১৫ সালে সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিয়ে আসা হয় ভারতে। তারপর বিচারে একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় সে। সাংবাদিক জ্যোতির্ময় দে মামলাতেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি হয় তার। বাবরি মসজিদ পরবর্তী গোলমালেও নাম জড়িয়েছিল রাজনের। একাধিক মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর থেকে তিহার জেলেই রয়েছে এই কুখ্যাত গ্যাংস্টার।একদিকে যেমন ক্রমশই বলিউডে ত্রাস তৈরি করছে লরেন্স বিষ্ণোই। সেই সময় রাজনের জামিন পাওয়া অবশ্যই অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে।
(Feed Source: zeenews.com)