এ যেন কিছুতেই শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না! আনোয়ার আলি ইস্যুতে আবার পিছিয়ে গেল পিএসসি-র শুনানি। বুধবার শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে ১০ নভেম্বর করে দেওয়া হল। এর আগে আরও ২ বার একই ঘটনা ঘটে। এদিনের শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় আনোয়ারকে AFC চ্যালেঞ্জ লিগে পাওয়ার ক্ষেত্রে আর সমস্যা রইল না ইস্টবেঙ্গলের। একই সঙ্গে ISL-এ মহামেডানের বিরুদ্ধে ম্যাচেও তাঁকে খেলাতে পারবে লাল-হলুদ শিবির। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর আনোয়ার আলি মামলার শুনানি ছিল প্লেয়ার স্টেটাস কমিটিতে। তবে মেল করে শুনানির তারিখ ৬ অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল দিল্লি এফসির তরফে। আগেই ইস্টবেঙ্গলের তরফে ৩০ তারিখের মিটিংয়ে তারা থাকতে পারবে না বলে জানানো হয়েছিল। এই দুটি কারণকে সামনে রেখে সেবার পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল পিএসসির মিটিং। ১৪ অক্টোবর হওয়ার কথা ছিল মিটিং। কিন্তু সেটিও কারণবশত আবার পিছিয়ে যায়। নতুন তারিখ দেওয়া হয় ২৩ অক্টোবর। এবার আরও একবার পিছিয়ে গেল সেটি।
উল্লেখ্য, আনোয়ারের মোহনবাগানের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ সঠিক পদ্ধতি মেনে হয়নি বলে মনে করেছিল পিএসসি। যার শাস্তি হিসেবে আনোয়ারকে ৪ মাসের জন্য নির্বাসন করা হয়েছিল। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি আগামী ২টি ট্রান্সফার উইন্ডোতে কোনও ফুটবলারকে সই করাতে পারবে না বলে নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছিল। একই সঙ্গে মোহনবাগানকে ১২.৯০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ ছিল। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে ইস্টবেঙ্গল এবং দিল্লি এফসি। সেখানেই পুরোনো রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয় এবং পিএসসি-কে পুনরায় মামলাটি শোনার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে আনোয়ার ইস্যুতে পিএসসি যে রায় দেবে, সেটা রিট পিটিশনের নির্দেশের উপরে নির্ভর করবে। অর্থাৎ রিট পিটিশনের ক্ষেত্রে যে রায় দেওয়া হবে, সেটাই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে ইতিমধ্যেই অভিষেক হয়ে গেছে আনোয়ারের। ISL ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বড় বাজেটের দল করেও এখনও একটি ম্যাচ ও জিততে পারেনি মশাল বাহিনী। তবে লাল-হলুদ জার্সি গায়ে এখনও পর্যন্ত যথেষ্ট ভালো খেলেছেন আনোয়ার। ISL-এ টানা ৬ ম্যাচের ৬ ম্যাচ হেরে এখন ভুটানে AFC চ্যালেঞ্জ লিগ খেলতে যাবে ইস্টবেঙ্গল এফসি। তার উপর ১ সপ্তাহ হয়নি নতুন কোচ অস্কার ব্রুজো দায়িত্ব নিয়েছেন। এরকম পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক স্তরে ম্যাচ খেলতে গিয়ে যে সমস্যায় পড়বে লাল-হলুদ শিবির, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
(Feed Source: hindustantimes.com)