মানুষের তৈরি প্রযুক্তি মানুষকেই চমকে দিচ্ছে। ছোটবেলার ওই রিমোট কন্ট্রোল গাড়ির মতোই, ড্রাইভার ছাড়াই চলছে চার চাকা গাড়ি। শুধুমাত্র গন্তব্যের বিবরণ দিলেই হবে। সময়ের আগেই নিশ্চিন্তে নিজের জায়গায় পৌঁছে দেবে গাড়িটি। বিদেশের মাটিতে তাক লাগালো এমনই ট্যাক্সি পরিষেবা। ভিডিয়ো দেখিয়ে চমকে দিলেন ইনস্টাগ্রাম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর।
কী দেখা গিয়েছে ভাইরাল ভিডিয়োতে
এই ট্যাক্সি পরিষেবাটি স্যান ফ্র্যান্সিস্কোর। নাম ওয়েমো। ভিডিয়োর শুরুতেই, ইনস্টাগ্রাম কন্টেন্ট ক্রিয়েটর সেজল কুমার জানান, তিনি ড্রাইভারহীন গাড়ি চড়তে চলেছেন। গাড়িটি সামনে থেকে দেখে নিজেই চমকে যান তিনি। ড্রাইভার ছাড়া এই ট্যাক্সি চড়ে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছোতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল মনে। নিজের সঙ্গীকে নিয়েই উঠেছিলেন গাড়িতে।
ড্রাইভারের পিছনের সিটে বসেই সিট বেল্ট লাগালেন। ডিজিটাল স্ক্রিনে, ‘স্টার্ট রাইড’ অপশনে ক্লিক করতেই চলতে শুরু করল গাড়িটি। গাড়িটি চলাকালীন, গান শোনার অপশনও এল। গন্তব্যে পৌঁছোতেই ডিজিটাল স্ক্রিনে তা জানিয়েও দেওয়া হল। সব মিলিয়ে দুর্দান্ত একটা ব্যাপার।
বলা বাহুল্য, সেজল ভিডিয়োটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই এটি বেশ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে অবাক নেটিজেনরাও। কেউ কেউ আবার বলছেন, ভারতে এই ক্যাব পরিষেবা এলে খুব ভালো হয়। মেয়েরা রাতে নিশ্চিন্তে এই ড্রাইভেরলেস গাড়িতে চড়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন। কেউ কেউ আবার এটিকে অবিশ্বাস্য বলেও বর্ণনা করেছেন।
১৫-২০ মিনিটের জন্য, সান ফ্র্যান্সিস্কোর এই ট্যাক্সি চড়তে খরচ হয় আনুমানিক ২০ থেকে ৩০ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য, ১,৬০০ টাকা থেকে ২,৫০০ টাকা। ওয়েমো, গুগলের এলফাবেট আইএনসি এর একটি কোম্পানি, যা এই প্রথম জনসাধারণের জন্য ড্রাইভার ছাড়াই এমন দুর্দান্ত ট্যাক্সি বা ক্যাব পরিষেবা দিচ্ছে।
(Feed Source: hindustantimes.com)