ভারতের মহিলা হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক রানি রামপাল বৃহস্পতিবার অবসরের কথা ঘোষণা করেছেন। এদিন তাঁর ১৬ বছরের কেরিয়ারের সমাপ্তি হল। ২০২১ সালে টোকিও অলিম্পিক্সে চতুর্থ হয়েছিল ভারতীয় হকি দল। সেই দলে ছিলেন হরিয়ানার একটি ছোট শহরের বাসিন্দা, ২৯ বছর বয়সী এই হকি খেলোয়াড়। তিনি দলকে জুনিয়র বিশ্বকাপের পদক অর্জনে এবং এশিয়ান কাপ জিততেও সাহায্য করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই পরপর দু’বার অলিম্পিক্সে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল ভারতের মহিলা হকি দল।
২০০৮ সালে তাঁর আন্তর্জাতিক স্তরে হকিতে অভিষেক হয়। তিনি ২৫৪টি ম্যাচে ভারতের হয়ে শতাধিক গোল করেছেন। রানি ২০২০ সালে মেজর ধ্যানচাঁদ খেল রত্ন পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন এবং ওই একই বছর পদ্মশ্রী পুরস্কারও পেয়েছিলেন। তিনি নিজের অবসর নিয়ে বলেন, ‘এটা একটা অসাধারণ সফর। আমি কখনও ভাবিনি ভারতের হয়ে এতদিন ধরে খেলব। প্রবল দারিদ্র্যকে সঙ্গে করেই বড় হতে হয়েছে। কিন্তু কখনও নিজের লক্ষ্য থেকে সরে যায়নি। আর আমার লক্ষ্যটা ছিল, ভারতের হয়ে একদিন প্রতিনিধিত্ব করা।’
হকি ইন্ডিয়ার তরফে এদিন X হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখা হয়, ‘শ্রেষ্ঠত্বের একটি যুগ শেষ হল! আজ, আমরা রানি রামপালকে বিদায় জানাচ্ছি, একজন আইকন যিনি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় হকিকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। ভারতকে অগণিত জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে সারা দেশে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ক্রীড়াবিদদের জন্য অনুপ্রেরণা হওয়া পর্যন্ত, রানির অবদান চিরকাল জ্বলজ্বল করবে। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ রানি। আপনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পথ তৈরি করেছেন, এবং ভারতীয় হকিতে আপনার অবদান আগামী বহু বছর ধরে অনুভূত হবে।’
মাত্র ১৪ বছর বয়সে ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন রানি রামপাল। দেশের জার্সিতে সেই সময়ে সবচেয়ে কম বয়সে অভিষেক হওয়া হকি খেলোয়াড় ছিলেন রানিই। এরপর ২০১০ সালের হকি বিশ্বকাপে ১৫ বছর বয়সে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। সেখানে ৭টা গোল করেছিলেন রানি। তাঁর এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের সুবাদে নবম হয়েছিল ভারতীয় মহিলা হকি দল। যা ১৯৭৮-র পর ভারতের সবচেয়ে ভালো পারফরম্যান্স ছিল। স্বভাবতই তিনি একজন ভারতীয় হকির লেজেন্ড ছিলেন। বহু তরুণ খেলোয়াড়কে অনুপ্রাণিত করতেন রানি। সম্প্রতি জাতীয় হকি দলের মেয়েদের সাব জুনিয়র বিভাগের কোচ নির্বাচিত হন তিনি।
(Feed Source: hindustantimes.com)