এবার শরিয়ত কাউন্সিল নিয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। মাদ্রাজ হাইকোর্ট জানিয়েছে, শরিয়ত কাউন্সিল হল একটি প্রাইভেট বডি। এটা কোনও আদালত নয়। কোনও স্বামী তালাক তালাক তালাক বলার পরে যখন কোনও স্ত্রী তার মান্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তখন স্বামীর উচিত কোর্টে যাওয়া। তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আইনগত সহায়তা নিন।
বিচারপতি জিআর স্বামীনাথন, তিনি মাদুরাই বেঞ্চে বসেছিলেন তিনি সম্প্রতি রায় দিয়েছেন যে যদি কোনও স্বামী দাবি করেন যে তিনি তাঁর প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন, তিনবার তালাক বলে তিনি একাজ করেছেন, আর এটা যদি তাঁর স্ত্রী না মানেন, যদি এটা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করা হয় তবে যেহেতু এই বিচ্ছেদটি আইনগত সিদ্ধ নয় সেকারণে বিয়ের বিষয়টি বজায় থাকবে।
এবার স্বামীকেই বোঝাতে হবে আদালতে যে তিনি তালাক তালাক তালাক বলেছিলেন, তাঁকেই আদালতে গিয়ে প্রয়োজনীয় রায়ের জন্য প্রার্থনা করতে হবে। বিচারপতি জানিয়েছেন, এটা স্বামীর একার সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেওয়া যায় না। কারণ তিনি তাঁর এই বিষয়টির একলা বিচারক হতে পারেন না। প্রসঙ্গত বিচারপতি একটি সিভিল রিভিশন পিটিশন সম্পর্কে খতিয়ে দেখছিলেন। ওই চিকিৎসক দম্পতি ২০১০ সালে বিয়ে করেছিলেন।
তাঁর স্ত্রীও সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। তিনি তিরুনেলভেলি জুডিশিয়াল ম্য়াজিস্ট্রেটের কাছে একটা আবেদন করেন যে গার্হস্থ্য হিংসা থেকে তাঁকে রক্ষা করা হোক। ২০২১ সালে ম্যাজিস্ট্রেট রায় দিয়েছিলেন যে তাঁকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। নাবালক পূত্রের ভরনপোষনের জন্য ২৫,০০০ টাকা করে মাসিক টাকা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। এমনকী স্বামী যে আপিল করেছিলেন সেটাও সেসন কোর্টে খারিজ হয়ে যায়।
এদিকে গোটা বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করে স্বামী একটি রিভিশন পিটিশন দাখিল করেন। ২০১৭ সালে শরিয়ত কাউন্সিল তামিলনাড়ুর তারা ডিভোর্স সার্টিফিকেট দেয়। এরপর ফের বিয়ে করেন স্বামী। কিন্তু স্ত্রী জানিয়ে দেন তৃতীয়বার নোটিশ তিনি পাননি। সেকারণে আগের বিয়ে এখনও টিকে রয়েছে।
বিচারপতি স্বামীনাথনের পর্যবেক্ষণ শরিয়ত কাউন্সিল যে সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে সেটা একেবারে শকিং। আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্বামীর বাবা কীভাবে তালাকের সাক্ষী হতে পারেন! আদালত জানিয়েছে, একমাত্র কোর্ট রায় দিতে পারে। শরিয়ত কাউন্সিল একটি প্রাইভেট কাউন্সিল। এটা কোর্ট নয়। কার্যত শরিয়ত কাউন্সিলের ভূমিকা নিয়েই বিরাট প্রশ্ন তুলে দিল আদালত।
(Feed Source: hindustantimes.com)