জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মোমো খেতে পছন্দ করেন না এমন ব্য়ক্তি খুঁজে পাওয়াই দুর্লভ। তবে পছন্দের মোমো খেতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হবে এমন ভেবেছেন কখনো? সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে হায়দ্রাবাদের বানজারা পাহাড়ের কাছে মোমো খেয়ে প্রাণ হারান ৩৩ বছর বয়সি এক মহিলা। এছাড়া রাস্তার খাবার খেয়ে আরও ২০ জনের খাদ্যে বিষক্রিয়া দেখা দিয়েছে সেই এলাকায়।
রেশমা বেগম এবং তার দুই মেয়ে (১২ এবং ১৪ বছর বয়সি) শুক্রবার খয়রাতাবাদের রাস্তায় এক মোমো বিক্রেতার কাছ থেকে মোমো খেয়েছিল৷ এরপরই তিনজনেই ডায়রিয়া, পেট ব্যথা ও বমির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রবিবার সকালে রেশমা বেগম মারা যান এবং তার দুই মেয়ের চিকিৎসা চলছে। রেশমা বেগম সিঙ্গেল মাদার হিসেবে তার মেয়েদের লালন পালন করতেন।
বানজারা হিলস থানার উপ-পরিদর্শক রামবাবু জানান, ‘গতকাল আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি যে রেশমা বেগম মারা গেছেন এবং আরও ১৫ জন বিভিন্ন বিভিন্ন বিক্রেতার কাছ থেকে মোমো খাওয়ার পরে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। আমরা এই বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেছি এবং বিষয়টির শীঘ্রই তদন্ত শুরু করেছি।’
তদন্তে দেখা গেছে যে রাস্তার ধারে স্টলে খাদ্য বিক্রেতা খাদ্য সুরক্ষার কোনও লাইসেন্স ছাড়াই কাজ করছে এবং অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা জায়গায় খাবার তৈরি করছে। মোমো তৈরি করতে যে ময়দা ব্যবহার করা হত সেটা কোনও প্যাকিং ছাড়াই রেফ্রিজারেটরে রাখা হয়েছিল, এমনকি রেফ্রিজারেটরের দরজাও ভাঙা ছিল। সেই খাদ্য বিক্রেতাদের কাছ থেকে তাদের বিক্রি করা কিছু খাদ্যের নমুনা ল্যাব বিশ্লেষণের জন্য পাঠানো হয়েছে।
রেশমা বেগমের পরিবার পুলিসের কাছে অভিযোগ করার পর, গ্রেটার হায়দ্রাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ এবং পুলিস সেই মোমো বিক্রেতাকে খুঁজে বের করে এবং স্টলটি পরিচালনাকারী দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং অপরাধমূলক হত্যার জন্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(Feed Source: zeenews.com)