অনেক টাকা খরচ করে আর ট্র্যাক্টর কিনতে হবে না, চাষের সব কাজ সহজে হবে এই মেশিনে, দামও কম

অনেক টাকা খরচ করে আর ট্র্যাক্টর কিনতে হবে না, চাষের সব কাজ সহজে হবে এই মেশিনে, দামও কম

হাল জোতা থেকে গরুকে চালনা করা, কৃষকের দম বেরিয়ে যাওয়ার জোগাড় হত। কিন্তু উপায়ও ছিল না কোনও।

চাষের সব কাজ সহজে হবে এই মেশিনে, দামও কম

ধানবাদ: একটা সময় হাল চাষ করা হত জোড়া বলদ দিয়ে। বীজ বপনের আগে জমিকে ফসল ফলানোর উপযুক্ত করে তোলা হত এভাবেই। কিন্তু কাজটা সহজ নয় মোটেই। রীতিমতো পরিশ্রমসাধ্য ব্যাপার। হাল জোতা থেকে গরুকে চালনা করা, কৃষকের দম বেরিয়ে যাওয়ার জোগাড় হত। কিন্তু উপায়ও ছিল না কোনও।

এরপর এল ট্রাক্টর। গরুর ছুটি হয়ে গেল। কাজও হয়ে গেল সহজ। কৃষকের পরিশ্রমের দিন ফুরোল। কিন্তু ট্র্যাক্টরের দাম অনেক। সাধারণ বা ক্ষুদ্র কৃষকের পক্ষে ট্রাক্টরের ব্যয়ভার বহন করা সহজ নয়। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচাতে বাজারে এসেছে নতুন যন্ত্র। নাম ‘পাওয়ার টিলার মেশিন’। একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করতে এর জুড়ি নেই।

ধানবাদের একটি বড় কৃষি সরঞ্জাম দোকানের কর্মচারী মহম্মদ জাভেদ আনসারি বলছেন, পাওয়ার টিলার মেশিন কৃষকদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এই মেশিনের সাহায্যে খুব সহজে এবং কম পরিশ্রমে চাষের যাবতীয় কাজ করা যায়। জমি যতই শুষ্ক হোক না কেন, পাওয়ার টিলার মেশিনের সাহায্যে অতি সহজেই বীজ বপনের জন্য উপযুক্তভাবে মাটি তৈরি করা যায়। এই মেশিন পেট্রোলে চলে। দামও কম।

পাওয়ার টিলার মেশিন দিয়ে চাষ এবং বাগান করা সহজ। হাল দেওয়া থেকে শুরু করে বীজ বপন, রোপণ, কীটনাশক দেওয়া ইত্যাদি কাজ করা যায়। নিড়ানি দেওয়ার কাজও হয়। জমিতে জল পাম্প করা, ফসল কাটা ইত্যাদিও সহজেই করা যায়। বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য এতে বিভিন্ন কৃষি সরঞ্জাম সংযোজন করার সুবিধাও রয়েছে।

পাওয়ার টিলার মেশিনের বিশেষত্ব: পাওয়ার টিলার মেশিনের বিশেষত্ব হল, আকারে ছোট। উচ্চতাও কম। ফলে যে কোনও জায়গায় রাখা যায়। এমনকী কৃষক চাইলে নিজের ঘরেও রাখতে পারেন। এর দুটি মডেল। একটির দাম ৩৯ হাজার টাকা। অন্য মডেলটি কিনতে খরচ পড়বে ৬৮ হাজার টাকা। দুটি মডেলই টানা ৪ ঘণ্টা কাজ করতে পারে। কৃষকের সময় এবং পরিশ্রম, দুইই বাঁচে।

কৃষকদের প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে কৃষিক্ষেত্রে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভব হচ্ছে। চাষ করাও এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। পাওয়ার টিলার এমন একটি যার সাহায্যে কৃষকরা জমি চাষের পাশাপাশি থ্রেশার, রিপার, কাল্টিভেটর, এমনকী সিড ড্রিল মেশিন হিসাবেও কাজ করে। জলের পাম্পের সঙ্গে জুড়ে দিলে পুকুর থেকে জলও তুলে ফেলে অনায়াসে। আর আকারে ছোট এবং দাম কম হওয়ায় ছোট এবং মাঝারি কৃষকরাও সহজে কিনতে পারেন।