নিউইয়র্ক : রসিকতা করে বলা হয়, পৃথিবীর এমন কোনো প্রান্ত নেই যেখানে বাঙালি পৌঁছয়নি। তার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রভাবও বাড়ার কথা। এবার আমেরিকায় গুরুত্ব বাড়ল বাংলার।
নিউইয়র্কে ২০০-র বেশি ভাষায় কথা বলা হয়। এমনই তথ্য রয়েছে সেখানকার সিটি প্ল্যানিং বিভাগের। যার জন্য আমেরিকার এই শহর ভরকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। যদিও, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইংরাজি ছাড়া, আর চারটি ভাষা ঠাঁই পেতে চলেছে ব্যালট পেপারে। সবথেকে চমকপ্রদ খবর হল, তালিকায় ভারতীয় ভাষা হিসাবে ঠাঁই পেয়েছে বাংলা। ৫ নভেম্বর আমেরিকায় ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে NYC-র বোর্ড অফ ইলেকশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইকেল জে রায়ান বলেন, “ইংরাজি ছাড়াও আমাদের আরও ৪টি ভাষার প্রয়োজন ছিল। সেগুলি হল- চৈনিক, স্প্যানিশ, কোরিয়ান ও বাংলা।”
টাইম স্কয়্যারে সেলস এজেন্ট হিসাবে কাজ করা এক ব্যক্তি যাঁর বঙ্গযোগ রয়েছে, তিনি স্বভাবতই এই সিদ্ধান্ত খুশি। কারণ, কুইন্স এলাকায় বসবাস করা তাঁর বাবা যখন ভোট দিতে যাবেন, তখন তাঁর ভাষাগত সুবিধা হবে। তিনি বলেন, আমাদের মতো অনেকে ইংরাজি জানেন। কিন্তু, আমাদের সম্প্রদায়ে এমন অনেকে রয়েছেন যাঁরা নিজেদের মাতৃভাষায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কাজেই, এটা তাঁদের ভোটকেন্দ্রে সাহায্য করবে। আমি নিশ্চিত যে, ব্যালট পেপারে বাংলা দেখে আমার বাবা খুশি হয়ে যাবে।
তবে, আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এভাবে বাংলা ভাষার ঢুকে পড়াটা আইনি প্রয়োজনীয়তায়। আইন অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক সিটি নির্দিষ্ট কিছু ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে বাংলায় ভোটদানের উপকরণ সরবরাহ করতে বাধ্য। এই আদেশটি শুধুমাত্র ব্যালট পেপারের বাইরেও, অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপকরণকে অন্তর্ভুক্ত করে। বহু সংখ্যক বাংলাভাষি ভোটার রয়েছেন এখানে।
বোর্ড অফ ইলেকশনের ভাষার তালিকায় কী করে জায়গা করে নিল বাংলা ? এ প্রসঙ্গে মাইকেল জে রায়ান বলেন, ‘ভাষা নিয়ে নিয়ে একটি মামলা ছিল। ভারতে একাধিক ভাষা আছে। একটি নির্দিষ্ট জনঘনত্বের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তির প্রয়োজন ছিল। এশিয়ান ভারতীয় ভাষা থাকা প্রয়োজন ছিল। তারপর একাধিক আলোচনার শেষে শেষমেশ বাংলা ভাষা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাকে বেছে নেওয়ার ফলে যে সীমাবদ্ধতা তৈরি হল তা আমি বুঝতে পারি, কিন্তু এটা মামলার নিষ্পত্তি করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে।’
(Feed Source: abplive.com)