GK: নাগ নাগিন নয়, ১৭ বছর পরও মানুষের উপরে বদলা নেয় এই প্রাণী! নামটা শুনলে চমকে উঠবেন

GK: নাগ নাগিন নয়, ১৭ বছর পরও মানুষের উপরে বদলা নেয় এই প্রাণী! নামটা শুনলে চমকে উঠবেন

২০০৬ সালে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন মার্জলুফ এবং তাঁর সঙ্গীরা এই গবেষণা শুরু করেছিলেন৷

অনেক প্রাণীরই নাকি স্মৃতিশক্তি প্রখর হয়৷ এমন কি, তাদের কেউ ক্ষতি করলে তারা ঠিক পরবর্তী সময়ে তার বদলা নেয়৷ অনেকেরই বিশ্বাস, সাপেদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি থাকে৷ নাগ-নাগিনদের প্রতিশোধ নেওয়ার অনেক গল্পও শোনা যায়৷

কিন্তু গল্পে যাই হোক না কেন, বাস্তবে গবেষণা করে পাওয়া তথ্যে উঠে এসেছে, পুরনো কোনও ঘটনা মনে রেখে মানুষের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার ক্ষেত্রে সবার উপরে যে প্রাণীর নাম আসবে, সেটি হল কাক৷

ওই গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে, ৫-১০ বছর নয়, কাক ১৭ বছর পরেও মানুষের উপরে পুরনো কোনও ঘটনা বদলা নিতে পারে৷

২০০৬ সালে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন মার্জলুফ এবং তাঁর সঙ্গীরা কাকদের নিয়ে এই গবেষণা শুরু করেছিলেন৷

গবেষণার অংশ হিসেবেই ওই অধ্যাপক এক ধরনের মুখোশ পরে সাতটি কাককে বন্দি করেন৷ এর পর সেগুলিকে মুক্ত করার আগে পায়ে এক ধরনের দাগ দিয়ে দেন৷ যাতে পরে সেগুলিকে চিহ্নিত করা যায়৷

এর কয়েক বছর পর থেকে ওই একই মুখোশ পরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাকদের খাবার খাওয়াতে যান ওই অধ্যাপক এবং তাঁর সহযোগীরা৷ সেই সময় একদল কাক তাঁদের আক্রমণ করে৷ সেই কাকগুলির মধ্যে গবেষণার কারণে বন্দি করা সাতটি কাকও ছিল৷

এর পরবর্তী সময়েও একই ঘটনা ঘটে৷ ওই মুখোশ পরে গবেষকরা কাকদের খাওয়াতে গেলেই সেগুলি আক্রমণ করতে শুরু করে৷ ২০১৩ সাল পর্যন্ত এরকমই চলতে থাকে৷

২০১৩ সালের পর ধীরে ধীরে কাকেদের আক্রমণের মাত্রা কমতে থাকে৷ ২০২৩ সাল থেকে মুখোশ পরে থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে কাকেরা আর ওই অধ্যাপককে আক্রমণ করেনি৷

কাক এমনিতে খুবই ধূর্ত একটি পাখি৷ কোনও বিপদসঙ্কেত দেখলে বছরের পর বছর মনে রাখতে পারে সে৷ মানুষও তার ব্যতিক্রম নয়৷ ১৭ বছর পর্যন্ত তারা যে মানুষের উপরে বদলা নিতে পারে, তা গবেষণায় প্রমাণিত৷

ভারতীয় কাক ১৫-২০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে৷ তবে তাদের গড় আয়ু ৬ বছর মতো৷ তবে অস্ট্রেলিয়ার দাঁড় কাক ২২ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে৷

(Feed Source: news18.com)