General Knowledge: মহাকাশে পাঠানো প্রথম কুকুরের নাম হল লায়কা, যে আর পৃথিবীতে ফিরে আসেনি। মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে লাইকার অবদান অমূল্য হলেও তার গল্প অত্যন্ত মর্মান্তিক। বিস্তারিত জানুন…
নয়াদিল্লি: আমরা সবাই জানি নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন ১৯৬৯ সালে। তবে খুব কম মানুষ জানেন যে লায়কা নামের একটি কুকুর ছিল পৃথিবীর প্রথম জীবন্ত প্রাণী, যে মহাকাশে গিয়েছিল। ১৯৫৭ সালের ৩ নভেম্বর লায়কাকে স্পুটনিক-২ মহাকাশযানে পাঠানো হয়।
ছবি – দ্য নিউ ইয়র্কার
লায়কা মস্কোর রাস্তা থেকে উদ্ধার করা একটি তিন বছর বয়সী সামোয়েড-টেরিয়ার মিশ্রণের কুকুর ছিল। সোভিয়েত বিজ্ঞানীরা তাকে মহাকাশ অভিযানের জন্য প্রস্তুত করতে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। এ সময় তাকে জেলি জাতীয় খাবার খাওয়ানো এবং সেন্ট্রিফিউজে ঘোরানোর মাধ্যমে মহাকর্ষের পরিবর্তনের সঙ্গে অভ্যস্ত করানো হয়েছিল।
লায়কাকে মহাকাশে পাঠানোর মূল উদ্দেশ্য ছিল, সোভিয়েত ইউনিয়নের বৈজ্ঞানিক কৃতিত্বের প্রদর্শন এবং আমেরিকার সাথে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে লায়কা পৃথিবীতে ফিরতে পারেনি৷ সোভিয়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, লায়কা ছয় থেকে সাত দিন বেঁচে ছিল মহাকাশে। ২০০২ সালে জানা যায়, তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার কারণে লায়কাকে মহাকাশে পাঠানোর মাত্র পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টার মধ্যে অতিরিক্ত গরমে সে মারা যায়।
লায়কার মরদেহ ১৯৫৮ সালের ১৪ এপ্রিল পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃপ্রবেশের সময় ধ্বংস হয়ে যায়। তবে লায়কার মর্মান্তিক মৃত্যুর পরেও সোভিয়েত বিজ্ঞানীরা তাদের মহাকাশ গবেষণা চালিয়ে যান। ১৯৬০ সালে বেলকা ও স্ট্রেলকা নামের দুটি কুকুর সফলভাবে মহাকাশে গিয়ে পৃথিবীতে জীবিত ফিরে আসে।
লায়কার গল্প আজও মানুষকে প্রাণীর অধিকার এবং বিজ্ঞান গবেষণার নৈতিকতার বিষয়ে ভাবতে বাধ্য করে।