অভিনেতা ঠাকুর অনুপ সিং ‘ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজ’ হয়েছিলেন: বলেছেন- এই চরিত্রে অভিনয় করা স্বপ্নের মতো, এখন আমি ভিকি কৌশলের সংস্করণ নিয়ে উত্তেজিত

অভিনেতা ঠাকুর অনুপ সিং ‘ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজ’ হয়েছিলেন: বলেছেন- এই চরিত্রে অভিনয় করা স্বপ্নের মতো, এখন আমি ভিকি কৌশলের সংস্করণ নিয়ে উত্তেজিত

মারাঠি-হিন্দি ছবি ‘ধর্মরক্ষক মহাবীর ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজ’-এ ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেতা ঠাকুর অনুপ সিং। তার জন্য এই ছবিটি শুধু একটি চরিত্র নয়, স্বপ্নের মতো। অনুপ, দৈনিক ভাস্করের সাথে একটি বিশেষ কথোপকথনে, এই চরিত্র এবং এর সাথে জড়িত চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে কথা বলেছেন।

এর পাশাপাশি ভিকি কৌশলকেও শীঘ্রই বড় পর্দায় ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের ভূমিকায় দেখা যাবে। আগামী বছর মুক্তি পাবে তার ছবি ‘ছাওয়া’।

সম্ভাজি মহারাজের ভিকির সংস্করণ দেখে উত্তেজিত৷

অনুপ বলেন, ‘ভিকির কাজ দেখেছি। ‘উরি’ এবং ‘স্যাম বাহাদুর’ ছবিতে তার কাজ খুব ভালো হয়েছে। আমি তাকে একজন মহান অভিনেতা মনে করি। একজন অভিনেতা ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের মতো চরিত্র জীবনে একবারই পান। ভিকিও ভাগ্যবান এবং আমিও নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। এ নিয়ে আরও চলচ্চিত্র নির্মাণ করা উচিত, যাতে এই চরিত্রটিকে আরও বেশি চেনা যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘এটি শিক্ষামূলক কাজে ব্যবহার করা জরুরি, যাতে আগামী প্রজন্ম ইতিহাস জানতে পারে। দুঃখের বিষয়, আমার শৈশবে ইতিহাসের বইয়ে ছত্রপতি সম্ভাজি মহারাজের কোনো অধ্যায় ছিল না। এই ছবির শুটিং করতে গিয়ে বুঝলাম এই চরিত্র সম্পর্কে কিছুই বলা হয়নি। এই ধরনের চরিত্রগুলির উপর আরও চলচ্চিত্র তৈরি করা উচিত, এবং আমি সম্ভাজি মহারাজের ভিকির সংস্করণটি দেখে খুব উত্তেজিত।

চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পাওয়াটা সৌভাগ্যের বিষয়।

অনুপ বলেছেন যে যখন এই ছবিটি তার কাছে এসেছিল, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে এটি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিল। ছত্রপতি শিবাজী ও সম্ভাজি মহারাজ আমার প্রতিমা। তার সাহস ও সংগ্রাম আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করেছে। আমি যখন এই চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পেলাম, তখন এটা শুধু ভূমিকা নয়, দায়িত্ব ছিল। এই ভূমিকা ছিল তাঁর আদর্শ বোঝা এবং তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

তিনি আরও বলেন, ‘এমন চরিত্র খুব কমই পাওয়া যায়। যখন এমন একটি সুযোগ আসে, একজনকে পূর্ণ পরিশ্রম ও হৃদয় দিয়ে তা অনুসরণ করা উচিত। এই চরিত্রটি আমাকে শুধু অভিনয়ই নয় জীবনের অনেক দিক শিখিয়েছে। পুরোপুরি বোঝার চেষ্টা করলাম।

মারাঠি ভাষা ও ইতিহাস বোঝার অসুবিধা

এই চরিত্রে অভিনয় করতে অনুপকে মারাঠি ভাষা এবং সেই সময়ের ইতিহাস বোঝার জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘ছবিতে সেই সময়ের মারাঠি ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল, যা আজকের থেকে একেবারেই আলাদা। সঠিকভাবে কথা বলা এবং বোঝা চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমি এর আগে ‘মহাভারত’-এর মতো প্রজেক্ট করেছি, কিন্তু এই চরিত্রের জন্য আমাকে আরও বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে। রাতে অনেক সময় তিনি পরিচালককে প্রশ্ন করতেন, মহারাজ কেন এই কথা বললেন এবং এর আসল অর্থ কী?

শারীরিক প্রস্তুতি এবং শুটিংয়ের চ্যালেঞ্জ

এই ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় করতে হলে শুধু সংলাপে নয়, শারীরিকভাবেও প্রস্তুত হওয়া দরকার ছিল। তিনি বলেন, ‘আমি আগে থেকেই ফিট ছিলাম, কিন্তু এই ছবিটি আমার শারীরিক স্ট্যামিনাকে নতুন চ্যালেঞ্জ দিয়েছে। ভারী বর্ম পরে আমাদের 8-10 ঘন্টা রোদে শুটিং করতে হয়েছিল।

অনেক সময় খাবার খেয়েছি কি না মনে করতে পারিনি। শুটিং শেষ হওয়ার পর শরীর কাঁপতে থাকে। এমতাবস্থায় গরম পানি ও লবণের আশ্রয় নিতে হয়। এই অভিজ্ঞতা বেশ ক্লান্তিকর ছিল। কিন্তু এটা আমাকে আমার চরিত্রের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।

ইতিহাসের সাথে সংযোগ করার অভিজ্ঞতা

ছবিটি মহারাষ্ট্রের ঐতিহাসিক দুর্গ যেমন সাতারা এবং বিজয়দুর্গে শ্যুট করা হয়েছে। অনুপ বলেন, ‘এসব জায়গায় কাজ করা খুবই স্পেশাল ছিল। এখানকার বাতাস, মাটি ও পরিবেশ আমাদের ইতিহাস অনুভব করার সুযোগ করে দিয়েছে। আপনি যখন এমন একটি জায়গায় শুটিং করেন যা আপনার চরিত্রের গল্পের একটি অংশ, তখন আপনার অভিনয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে উন্নত হয়। এই অভিজ্ঞতা সারাজীবন মনে থাকবে।

এই ছবিটি শুধু গল্প নয় ,

ছবিটি দর্শকদের অবশ্যই ভালো লাগবে বলে আশা করছেন অনুপ। ‘এই ছবিটি শুধু একটি গল্প নয়, একটি অভিজ্ঞতা, যা দর্শকরা প্রতিটি ফ্রেমে অনুভব করবেন। আমি নিশ্চিত যে এই ছবিটি প্রতিটি প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণামূলক প্রমাণিত হবে।

(Feed Source: bhaskarhindi.com)