পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ক্রমেই বাড়ছে বাংলাদেশের। ইতিমধ্য়েই খবর এসেছিল যে পাকিস্তানের জাহাজ নোঙর করেছে বাংলাদেশের বন্দরে। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা খুলে দেওয়া হল পাকিস্তানের পড়ুয়াদের জন্য। একেবারে অবারিত দ্বার। কার্যত অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০দিনেই ইঙ্গিত এসেছিল নতুন বাংলাদেশ এবার তাদের বন্ধুও নতুন করে তৈরি করছে। আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল পাকিস্তান।
এবার ফের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসতে পারবেন পাক পড়ুয়ারা। দরজা খোলা হল। তবে ২০১৫ সালে জরুরী সিন্ডিকেট সভা করে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টেনেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আর এবার দেখা গেল একেবারে অবারিত দ্বার করে দেওয়া হল। গত ১৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিয়মিত সিন্ডিকেট সভা করেছিল। তারপরই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
এবার পাকিস্তান থেকে পড়ুয়ারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসতে পারবে। আবার ঢাকা থেকে পড়ুয়ারা পড়তে যেতে পারবে পাকিস্তানে। একেবারে বিনিময় প্রথা। তবে ১৯৭১ এর স্মৃতি ভুলে গিয়ে কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এই সিদ্ধান্ত নিল তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য সায়মা হক বিদিশা বলেন, একটা সময় পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছিল। আমাদের যেহেতু এটা অ্য়াকাডেমিক প্রতিষ্ঠান। ফলে অনেকে স্কলারশিপ নিয়ে বা কনফারেন্সে যোগ দিতে যেতে চায়। সেই বিষয়টি বিবেচনা করে সভায় আলোচনা করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। রবিবারই তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বিদেশের নানা রাষ্ট্রের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তার মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ দুটি নাম ছিল। সেটা হল চিন আর পাকিস্তান। এমনকী বর্তমান সময়ে বাকি দুনিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কতটা আগ্রহী সেটা ইউনুস তুলে ধরেন। তবে সেদিনই তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নতুন বাংলাদেশের বন্ধু করা হতে যাচ্ছে।
ইউনুস বলেছিলেন, ‘আমরা আসিয়ানের সদস্যপদের জন্য় আবেদন করেছি। মালয়েশিয়া আমাদের সহযোগিতা করছে। ইন্দোনেশিয়া আমাদের সহযোগিতা করছে। …তুরস্ক আমাদের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে চায়। চলতি মাসে একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন দল বাংলাদেশ আসছে। বন্ধুরাষ্ট্রগুলি যে আমাদের যে বড় সাহায্য করছে সেটাই নয়। বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। রাষ্ট্রসংঘের মজলিসে আমরা প্রশংসিত।’
ইউনুস বলেছিলেন, ‘নেপাল, মলদ্বীপ, পাকিস্তান সহ প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। যেখানে আমি সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে বলেছি। ’
‘দিল্লি থেকে এত সংখ্য়ক রাষ্ট্রদূত এর আগে কোনও দিন আসেনি। দিল্লি থেকে একসঙ্গে ২০জন রাষ্ট্রদূতসহ মোট ২৭ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সমবেতভাবে আমার সঙ্গে বৈঠক করতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আসছেন।’ জানিয়েছিলেন ইউনুস।
(Feed Source: hindustantimes.com)