সুনীত হালদার, আশাবুল হোসেন ও অর্ণব মুখোপাধ্যয়, কলকাতা : আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে, তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ভয়াবহ ঘটনার পরপরই, সামনে আসে আরেকটা মারাত্মক অভিযোগ। থ্রেট কালচার! হুমকি-সংস্কৃতিতে অভিযুক্ত আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ৫১ জন জুনিয়র ডাক্তারকে প্রাথমিকভাবে সাসপেন্ড করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলপন্থী। অনেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি, তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে বেনজির আক্রমণ শানালেন তৃণমূলেরই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত মেডিক্যাল পড়ুয়া-চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে কল্যাণ বলেন, ‘আমি দুঃখিত, আমি দেখে কষ্ট পেয়েছি। বাচ্চা-বাচ্চা ছেলেমেয়েগুলোর পাশে কেউ নেই! তারা আসছে আমার কাছে ‘ । এখানেই থামেননি তিনি। বলেন, ‘এতগুলো ছেলে আজকে সাসপেন্ড, বহিষ্কার করা গেল, TMCP-র ছেলে, আর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তাঁর মুখ থেকে কোনও ভাষা নেই, কোনও কথা নেই! অবিশ্বাস্য! কার আশীর্বাদ এঁর মাথায় আছে, যে, এখনও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি থাকে ! ‘
যে বিষয়টি বিরোধীদের আলোচনার খোরাক তৈরি করছে, তা হল, যিনি আক্রমণ শানাচ্ছেন, তিনি তৃণমূলের সাংসদ। আর যাঁকে আক্রমণ করছেন, তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। কল্যাণের এই বেনজির আক্রমণ শুনে কী বললেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি?
তৃণাঙ্কুরের দাবি, ‘সংগঠন সংগঠনের মতো আছে। তারা চলবে। তাঁরা তাঁদের মতো করে, যাঁরা নীতি নির্ধারক তাঁরা ভাববেন। সর্বোচ্চ নেত্রীরা রয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়, অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় রয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি যদি কিছু করি, সেটাও আমি বলতে চাই না। যদি না করি, সেটাও নিশ্চিতভাবে দলের নেতৃত্ব আমায় জানাবেন। দলের নেতৃত্বরা আছেন, যেভাবে বলবেন আমাকে, যে দায়িত্ব পালন করতে বলবেন, আমি সেটা সেভাবে পালন করব। ‘
তৃণাঙ্কুরকে কার্যত ধুয়ে দিলেও থ্রেট কালচারের দায় নিয়ে বহিষ্কৃত তৃণমূলপন্থী ডাক্তারদের পাশে থাকার জন্য কুণাল ঘোষের প্রশংসা করেন কল্যাণ। বলেন, ‘শুধু কুণাল ঘোষ খেয়াল রেখেছে। কুণাল ঘোষ লক্ষ্য রাখে। কুণাল আর আমার কমিউনিকেশনে সব করছিলাম। ‘
চার বারের তৃণমূল সাংসদের এভাবে প্রকাশ্য়ে তৃণমূলেরই শাখা সংগঠনের সভাপতিকে আক্রমণ নিঃসন্দেহে ইঙ্গিতপূর্ণ।
(Feed Source: abplive.com)