নয়াদিল্লি: দীর্ঘ সাত বছরের সম্পর্ক, সেই সম্পর্কের অবসান ঘটিয়ে আসন্ন মরশুমের আগে দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) কোচের পদ থেকে রিকি পন্টিংকে (Ricky Ponting) ছেঁটে ফেলে। তাঁর তত্ত্বাবধানে দিল্লি আইপিএল ফাইনাল খেললেও, মহম্মদ কাইফের (Mohammad Kaif) মতে দিল্লি সম্ভবত সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। বরঞ্চ রাজধানীর ফ্রাঞ্চাইজির সাফল্যের জন্য পন্টিং নয়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেই (Sourav Ganguly) কৃতিত্ব দিচ্ছেন দলের প্রাক্তন সহকারী কোচ।
এ বছর পর্যন্তও দিল্লির ডাগআউটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়কদের অন্যতম সৌরভ ও পন্টিং, একই সঙ্গে মজুত ছিলেন। খেলোয়াড় জীবনে তাঁদের মধ্যে অনেক লড়াই দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। তবে একদা সেই ডাগআউটের অংশ কাইফ জানান ফ্র্যাঞ্চাইজির না না সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়েও কোচ পন্টিং এবং ফ্রাঞ্চাইজির ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট সৌরভের মধ্য মতবিরোধ ছিল। এই বিষয়টি তুলে ধরতে কাইফ শিখর ধবনের ট্রেডিং নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি তুলে ধরেন। কাইফের দাবি অনুযায়ী পন্টিংয়ের মতে ধবনের কেরিয়ারগ্রাফ নীচের দিকে যাওয়ায় তিনি বাঁ-হাতি ব্যাটারকে নিতে রাজি হননি। তবে সৌরভই নাকে তাঁকে রাজি করান।
কাইফ বলেন, ‘আমার মনে হয় পন্টিং নিজেও এটা মানবে যে আমি, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, আমরা মিলে যে দলগঠন করেছিলাম, সেই দল নিয়ে ওঁর আরও ভাল পারফর্ম করা উচিত ছিল। আমাদের দলে অশ্বিন, অজিঙ্ক রাহানে, ঈশান্ত শর্মা, এমনকী হেটমায়ারের পর্যন্ত জায়গা হত না। আমরা ভাবতাম কাকে দল থেকে বাদ দেব। তারপর আমরা নিলামে যখন যাই, তখন সৌরভই ঠিক করে যে আমাদের ভারতীয় ক্রিকেটারদের ব্যাক করার প্রয়োজন। আর এই সিদ্ধান্তের জন্য ওঁকে বাহবা দিতেই হয়। ওঁ শিখর ধবনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন এবং তারপরেই হায়দরাবাদের সঙ্গে ওই ট্রেডিংটা হয়েছিল। সৌরভই সকলকে রাজি করান যে আমাদের ওকে দরকার। পন্টিং তো এর বিরুদ্ধে ছিলেন।’
২০২০ সালে আইপিএল ফাইনাল পর্যন্ত দিল্লির দৌড়ে ধারাবাহিক ধবনের কিন্তু বড় ভূমিকা ছিল। পন্টিংয়ের এই সমস্ত সিদ্ধান্তের জন্যই সম্ভবত তাঁকে সরানো হয়েছে বলে মনে করেন কাইফ। ‘আমার মনে হয় পন্টিং আফশোসই করবেন, কারণ এই সাত বছরে ওরা একবারও ট্রফি জিততে পারেনি। বরং অশ্বিনকে দলে নেওয়ারর কৃতিত্বটাও সৌরভেরই প্রাপ্য। সেই কারণেই কর্ণধার হয়তো ভেবেছেন যে পন্টিংয়ের গেমপ্ল্যান ভাল নয় এবং সেই কারণেই তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন’ মত কাইফের।
(Feed Source: abplive.com)