সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডানকুনি: রাজ্যজুড়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা-গুলি ভাণ্ডার তৈরি হয়েছে বলে বারবার অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলি। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মদতেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানা তৈরি হওয়ার পাশাপাশি বোমা ও গুলির অঢেল লেনদেন চলছে বলে অভিযোগ। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে প্রচুর আগ্নেয়ান্ত্র ও বোমা-গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এর মধ্যেই একজন ফেরিওয়ালার (Hawker) ঝোলা থেকে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র (illegals arms) উদ্ধারের ঘটনায় তাজ্জ্বব হয় গেছে পুলিশ।
বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুড়ি-মুরকি মতো উদ্ধার হচ্ছে বোমা-বন্দুক এবার ডানকুনিতেও এক ফেরিওয়ালার কাজ থেকে উদ্ধার হল পিস্তল।
আগ্নেয়াস্ত্র সহ ওই ফেরিওয়ালাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে ডানকুনি (Dankuni) থানার পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম মইনুদ্দিন মোল্লা ওরফে ছট্ট। ডানকুনির খুশাইগাছি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি ওয়ান সাটার পিস্তল।
পুলিশ আরও জানিয়েছে ধৃতের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলতলিতে।তবে বেশ কিছুদিন যাবৎ ডানকুনির মৃগালার তেঁতুলতলায় বসবাস করত সে।
একজন ফেরিওয়ালার কাছে কী কারণে পিস্তল এলো বা কোনও বড়সড় দুষ্কৃতী দলের সঙ্গে যুক্ত কিনা বা সে কোনও অপরাধ মূলক কাজের ছক কষে ছিল কিনা সবটাই খতিয়ে দেখছে ডানকুনি থানার পুলিশ। বুধবার পুলিশি হেফাজতে চেয়ে ধৃতকে শ্রীরামপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে প্রচুর বোমা ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরপরই একযোগে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা। এর আগেও বিভিন্ন সময় রাজ্যের নানা জায়গায় অবৈধ বোমা তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি জায়গায় তৃণমূল নেতাদের মদতেই যে ওই কারখানাগুলো চলত তার প্রমাণ মিলেছে। কিছু জায়গায় তো বোমা বাঁধতে মৃত্যু হয়েছে কয়েকজন তৃণমূ কর্মী সমর্থকদের। যার তীব্র নিন্দা করেছে বিরোধীরা।
(Feed Source: abplive.com)