Helmet for Kids- পাগড়ি পরিহিত শিখ পুরুষ এবং মহিলাদের অবশ্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি শীল নাগু এবং বিচারপতি ক্ষেত্রপালের বেঞ্চ জানিয়েছে, পাগড়ি পরিহিত শিখ পুরুষ এবং মহিলারা এই নিয়মের আওতায় পড়বেন না।
কলকাতা: বয়স চার বছর বা তার বেশি হলে হেলমেট পরতেই হবে। টু হুইলার চালক এবং যাত্রীদের জন্য এমনই নির্দেশ জারি করল পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। এই নিয়ম শুধুমাত্র হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং চণ্ডীগড়ের জন্য প্রযোজ্য।
পাগড়ি পরিহিত শিখ পুরুষ এবং মহিলাদের অবশ্য ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি শীল নাগু এবং বিচারপতি ক্ষেত্রপালের বেঞ্চ জানিয়েছে, পাগড়ি পরিহিত শিখ পুরুষ এবং মহিলারা এই নিয়মের আওতায় পড়বেন না।
আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, চালক বা যাত্রী হিসেবে দুই চাকার যানে চড়লে চার বছর বা তার বেশি বয়সী যে কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি সব ধরণের বাইকের জন্যই এই নিয়ম লাগু করা হয়েছে। অর্থাৎ পেট্রোল চালিত বাইক হোক কিংবা ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল, সবাইকেই নিয়ম মেনে হেলমেট পরতে হবে।
এখানেই শেষ নয়। যে কোনও হেলমেট কিনে পড়লেই হবে না। সেটাকে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ধারিত স্ট্যান্ডার্ড মেনে তৈরি হেলমেটই বৈধ্য বলে গণ্য হবে। এদিন এমনটাই জানানো হয়েছে আদালতের তরফে।
কেন্দ্রীয় সরকারকে চার বছরের কম বয়সী শিশুদের মোটরসাইকেলে পরিবহণের জন্য সুরক্ষাবিধি তৈরির নির্দেশও দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি বলা হয়েছে, হেলমেটের গুণগত মান এমন হতে হবে যাতে দূর্ঘটনা ঘটলেও মাথা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকে। চালক ও যাত্রীকে সঠিকভাবে হেলমেট পরতে হবে, শুধু মাথায় গলিয়ে নেওয়াই যথেষ্ট নয়।
হেলমেট ছাড়াই বাইক চালানোর ক্ষেত্রে চালক এবং পিছনে বসা যাত্রীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, কত টাকা জরিমানা করা হয়েছে ইত্যাদি যাবতীয় তথ্য জমা দেওয়ার জন্য হরিয়ানা, পঞ্জাব এবং চণ্ডীগড়ের পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৪ ডিসেম্বর।
‘সুরক্ষিত হেলমেট’-এর সংজ্ঞাও বেঁধে দিয়েছে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। বিচারপতিরা নির্দেশে বলেছেন, ‘সুরক্ষিত হেলমেট’ বলতে বোঝায় – হেলমেটের আকৃতি, গুণমান এবং গঠন এমন হতে হবে যাতে মোটরসাইকেল চালক এবং আরোহী হিসেবে থাকা ব্যক্তি দূর্ঘটনার কবলে পড়লে আঘাত থেকে যথাযথ সুরক্ষা পান। পাশাপাশি যেন স্ট্র্যাপ বা অন্য কোনও বাঁধন দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে, যা হেলমেট চালক বা যাত্রীর মাথার সঙ্গে আটকানো থাকবে।
বাইক দূর্ঘটনার সঙ্গে প্রতি বছরই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। কিন্তু তারপরেও সেভাবে সচেতনতা তৈরি হয়নি। অনেকেই হেলমেট ছাড়াই বাইক নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। এহেন পরিস্থিতিতে আদালতের এই নির্দেশ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।