যাদের চাকরিতে রাখা হবে না সেই অগ্নিবীরদের দক্ষতার শংসাপত্র দেওয়া হবে: কেন্দ্র

যাদের চাকরিতে রাখা হবে না সেই অগ্নিবীরদের দক্ষতার শংসাপত্র দেওয়া হবে: কেন্দ্র

Agnipath Recruitment Scheme: ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীতে চার বছর প্রশিক্ষণের পরে যে প্রার্থীদের রাখা হবে না তাঁরা দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রক থেকে স্কিল ইন্ডিয়া সার্টিফিকেট পাবে, শুক্রবার ঘোষণা করল সরকার। প্রার্থীদের যে স্নাতকের ৫০ শতাংশ ক্রেডিট দেওয়া হয় তা ছাড়াও এই শংসাপত্রটি দেওয়া হবে। অগ্নিপথ প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষিত যুবকরা ভারতে ‘দক্ষ কর্মশক্তি’ বাড়াবে বলেই দাবি দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রকের। নতুন নিয়োগ নীতির বিরুদ্ধে লাগাতার প্রতিবাদের তৃতীয় দিন পরই এই ঘোষণা কেন্দ্রের।

“সমস্ত অগ্নিবীররা চাকরিতে থাকাকালীন স্কিল ইন্ডিয়া সার্টিফিকেট পাবে, যা তাঁদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আমাদের অর্থনীতিতে তৈরি করা উদ্যোক্তা এবং চাকরিতে অনেক বৈচিত্র্যময় সুযোগ অনুসরণ করতে প্রস্তুত করবে,” একটি অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মন্ত্রক। যদিও দক্ষতা মন্ত্রক চাকরিতে থাকাকালীন দক্ষতার জন্য শংসাপত্র দেবে ঠিকই, তবে যে দক্ষতার জন্য অতিরিক্ত প্রশিক্ষণের প্রয়োজন তা নিয়ে এখনও কিছু বিশদে জানানো হয়নি।

“চাকরিতে শেখা কিছু দক্ষতা NSQF সিলেবাসের সঙ্গে সরাসরি সমতুল্য হতে পারে। কারও কারও জন্য অতিরিক্ত অনলাইন বা অফলাইন, তত্ত্ব বা হাতে কলমে দক্ষতার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতার শংসাপত্র প্রয়োজন হতে পারে। এই বিশদ বিবরণের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর প্রশিক্ষকদের জন্য যেকোনও প্রশিক্ষণ, মূল্যায়ন এবং শংসাপত্র দেওয়ার জন্য বিশেষত বাহিনী থেকে মূল্যায়নকারীদের সমস্ত দিকগুলি নিয়েই কাজ করা হচ্ছে,” অফিসিয়াল বিবৃতিতে জানিয়েছে মন্ত্রক।

আগেভাগেই অবসর ছাড়াও, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মেয়াদ শেষ করার পরে পেনশন না পাওয়া এবং কর্মজীবনের বিকল্প নিয়েও বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন। প্রতিরক্ষা বিভাগে চাকরি প্রার্থীরা এই সপ্তাহের শুরুতে অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণার পরেই সহিংস বিক্ষোভে নেমেছেন। বিহার এবং উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি বাস ও ট্রেন ভাঙচুর আর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী রেণু দেবী প্রতিবাদকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “চার বছর শেষ হলে, ‘অগ্নিবীররা’ নতুন করে কাজ শুরু করার জন্য ১২ লাখ টাকার অর্থনৈতিক প্যাকেজ পাবেন। ঋণ, শিক্ষামূলক কোর্স, CAPF-এর জন্য তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে… বিরোধীরা পড়ুয়াদের বিভ্রান্ত করছে এবং গুণ্ডারা সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে।”

সরকার জানিয়েছে, “স্কিল ইন্ডিয়া এবং এমএসডিই সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন শাখার সঙ্গে সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করবে যাতে ছাত্রদের অতিরিক্ত দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া যায় এবং যাতে তারা এই কাজের জন্য আরও উপযুক্ত হয়ে ওঠে।” নীতিটিকে ‘পরিবর্তনমূলক’ বলে দাবি করে মন্ত্রক বলেছে, “এর ফলে একটি প্রযুক্তি মনস্ক, তরুণ কর্মী বাহিনী তৈরি হবে, যা আমাদের সেনাবাহিনীর মূল মূল্যবোধ যেমন ‘দেশ সবার আগে’, ভারতের ক্রমাগত বৃদ্ধি এবং অগ্রগতির জন্য অত্যাবশ্যক।”

Published by:Madhurima Dutta

(Source: news18.com)