MP News: টহলদারিতে পুলিশের তাই কমতি থাকে না। এবারও যেমন সেই কারণেই চার গাঁজা চোরাচালানকারীকে হাতেনাতে ধরা সম্ভব হল।
Reporter: Narayan Gupta
Reporter: Narayan Gupta
কাটনি, মধ্য প্রদেশ: মাদকের চোরাচালান আটকাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ পুলিশ। বেশিরভাগ সময়েই দেখা যায় যে রেল বা ট্রাকে এই সবের চালান চলে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে। টহলদারিতে পুলিশের তাই কমতি থাকে না। এবারও যেমন সেই কারণেই চার গাঁজা চোরাচালানকারীকে হাতেনাতে ধরা সম্ভব হল।
ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের কাটনির। এসপি অভিজিৎ কুমার রঞ্জন সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি সম্পর্কে বিবৃতি দিয়েছেন। সেই বিবৃতি অনুযায়ী ওই ৪ গাঁজা চোরাচালানকারীদের কাছ থেকে ১৬টি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ২ কুইন্টাল গাঁজা ছিল। এর বাজারমূল্য আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার কাছাকাছি বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।
বলা হয়েছে যে রাতে টহল দেওয়ার সময়ে কাটনির কোতোয়ালি থানা পুলিশ রেল স্টেশনের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মের কাছে দুই মহিলাকে কিছু বস্তা জড়ো করে রাখতে দেখে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁরা সেদিকে যেতেই ওই দুই মহিলা ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন। অবশ্য তাঁদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। পুলিশ পিছু ধাওয়া করে তাঁদের ধরে ফেলতে সক্ষম হয়। জেরায় ওই দুই মহিলা স্বীকার করে নেন যে তাঁরা ওড়িশা থেকে গাঁজা নিয়ে মধ্যপ্রদেশের কাটনিতে এসে পৌঁছেছিলেন। তাঁদের গন্তব্য ছিল রিঠি থানা এলাকার বুধা ললিতপুর গ্রাম। পুলিশের কাছে ওই দুই মহিলা দিল্লগি পারধি এবং আশিয়ানা পারধি নামে নিজেদের পরিচয় দেন।
এটিই একমাত্র ঘটনা নয়, এসপি অভিজিৎ রঞ্জন সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর বিবৃতিতে জানান, দুটি পৃথক ঘটনায় পুলিশ দুই কুইন্টাল গাঁজা উদ্ধার করেছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১২০ কেজি মতো গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। কাটনির মতো বরাহি থানা পুলিশও দুই মহিলা গাঁজা চোরাচালানকারীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এই দুই মহিলার কাছ থেকে প্রায় ৭২ কেজি মতো গাঁজা পাওয়া গিয়েছে।
বরাহির ঘটনায় এসডিওপি কৃষ্ণপাল সিং বলেছেন যে বরাহি থানা এলাকার খান্না বানজারি স্টেশনের কাছে গাঁজা চোরাচালানকারী এক মহিলার খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেই মতো টিআই শৈলেন্দ্র যাদবকে বিষয়টি জানানো হয় এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর পর বরাহি থানা পুলিশ ঝাড়খণ্ড থেকে গাঁজা নিয়ে আসা দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের কাছে এঁরা চন্দা পারধি এবং জিলসনি পারধি নামে নিজেদের পরিচয় দিয়েছেন। এঁদের সবার বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং সমস্ত অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করা হয়েছে।