জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এখন যত দোষ নন্দ ঘোষ। হাসিনা সরকারের উত্খাতের পর গুছিয়ে নেওয়া তো দূরের কথা অশান্তি বেড়েছে বাংলাদেশে। একদিকে, কোনও গঠনমূলক কাজের অগ্রগতি যেমন নেই তেমনি দেশের সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচারের ঘটনায় ইউনূস সরকার এখন সাঁড়াশি চাপে। সেই ডামাডোলের দায় ভারতীয় মিডিয়ার উপরে চাপালেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
শনিবার ঢাকার নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে হওয়া এক বৈঠকে ওই কথা বলেন তৌহিদ হোসেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে ভারতের সঙ্গে এক রকম সম্পর্ক ছিল। ৫ আগস্টের পরে তা বদলে গিয়ে অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। এটাই হল বাস্তবতা। এ বাস্তবতার নিরিখেই ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বিনির্মাণ করতে হবে এবং এটা অব্যাহত রাখতে হবে। যেকোনো পরিবর্তনেই সময় লাগে। আমার বিশ্বাস যে ভারত পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এই সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কীভাবে এগিয়ে নিতে হবে, সেটা উপলব্ধি করবে এবং করছেও সেটা। আমি প্রত্যাশা করব, তারা সে অনুযায়ী এগোবে।
দুদেশের সম্পর্কের তিক্ততার জন্য ভারতের গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ভারতের মিডিয়া হঠাৎ করে একেবারে যেন ভয়ংকরভাবে লেগে পড়ল আমাদের বিরুদ্ধে। আমি এটা স্পষ্টভাবে এবং খোলাখুলিভাবে বলেছি, বিভিন্ন বিবৃতিতে সেটা উল্লেখ করেছি। ভারতের মিডিয়া যে ভূমিকা নিয়েছে, সেটা কোনো অবস্থাতেই দুটি দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক নয়। তারা কেন এটা করছে, তারা ভালো বলতে পারবে। তৌহিদ আরও বলেন, এখানে তাঁর মনে হয় এ দেশের গণমাধ্যমের ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন আছে। ভারতের গণমাধ্যমে যে মিথ্যাচার হচ্ছে, সেগুলোকে তুলে নিয়ে আসা ফ্যাক্ট চেকের টুলের মাধ্যমে।
বৈঠকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার করে বর্তমান সরকার সঠিক কাজটাই করেছে। ধর্মভিত্তিকভাবে এই ইস্যুটা দেখার সুযোগ নেই। যে আইন অমান্য করবে, তাঁকে বিচারের আওতায় আনা মৌলিক কাজ।
(Feed Source: zeenews.com)