১০০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দায়িত্ব নেবে ১০০টি সংস্থা, কর্ণাটকে অভিনব ট্রেনিং মডেল

১০০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দায়িত্ব নেবে ১০০টি সংস্থা, কর্ণাটকে অভিনব ট্রেনিং মডেল

বিটেক পড়ুয়াদের জন্য খুশির খবর। পড়াশোনা শেষে চাকরি পেতে আর হবে না অসুবিধা। জানা গিয়েছে, কর্নাটকের ১০০ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গ্রহণ করবে কর্পোরেট সংস্থাগুলি৷ এই রাজ্যের বিই এবং বিটেক পড়ুয়াদের জন্য নতুন প্রকল্পের প্রস্তাব রেখেছেন আইটি মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খড়গে৷

হঠাৎ কেন এমন প্রকল্প

বিশ্বের বৃহত্তম আইটি সংস্থাগুলি এবং বহু-জাতিক সংস্থাগুলির পাশাপাশি, কর্ণাটকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজও রয়েছে। সারা দেশ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বিই এবং বিটেক পড়তে আসে এই রাজ্যে। তাই এবার পড়ুয়াদের বিশেষ সুবিধার জন্য এখানে ১০০ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ১০০ কর্পোরেট কোম্পানিগুলির হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে নিপুনা কর্ণাটক ইনিশিয়েটিভ। খুব শীঘ্রই, ২০২৫ সালের শিক্ষাবর্ষ থেকে এটি কার্যকর করা হতে পারে।

প্রিয়াঙ্ক খড়গের দাবি, একটি বড় অটোমোবাইল কোম্পানি বলেছিল যে শিক্ষার্থীরা চাকরির জন্য উপযুক্ত নন। তাঁদের প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। নাহলে তারা তো শিক্ষার্থীদের চাকরি দিতে চায়। তখন রাজ্য কোম্পানিগুলোকে ওই পড়ুয়াদের নিজে ট্রেনিং দিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। কোম্পানি রাজ্যের এই পরামর্শ মাথায় রেখে, পরিকল্পনার ব্লুপ্রিন্ট চায়। খার্গের মতে, ‘যখন আমরা একটি ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে কোম্পানির কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। কোম্পানিগুলো সম্মত হয়। তাই এটি আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু হতে পারে।

এর থেকে শিক্ষার্থীরা কী কী সুবিধা পেতে পারেন

জানা গিয়েছে, প্রতি বছর কর্ণাটকের এক লক্ষ শিক্ষার্থীকে ট্রেনিং দেওয়া হবে। এই স্কিম চালু হলে এটা স্পষ্ট যে কোম্পানিগুলো যদি নিজেরাই গৃহীত কলেজ পড়ুয়ারা ট্রেনিং দেয়, দক্ষতা তৈরি করে, তাহলে চাকরির বাজারে তাঁদের চাহিদা বাড়বে। কোর্স চলাকালীন আসন্ন ভবিষ্যতের জন্য তাঁরা প্ৰস্তুত হয়ে যাবেন। ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পরেই, চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

এ প্রসঙ্গে খড়গেও দাবি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে, কর্ণাটকের শিক্ষার্থীরা সুপ্রশিক্ষিত, সেরা দক্ষতা এবং সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থানযোগ্য হয়ে উঠবে। জানা গিয়েছে, আইবিএম, ইন্টেল, মাইক্রোসফট, বিএসএসআই কনসোর্টিয়াম, অ্যাকসেঞ্চারের মতো কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরু টেক সামিটে (বিটিএস) মন্ত্রী খড়গে আরও বলেন যে কর্ণাটক সরকার এবং ডিআরডিও রাজ্যে প্রতিরক্ষা ইন্ডাস্ট্রিকে উন্নীত করার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে। উদ্ভাবন এবং প্রযুক্তিতে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য ফিনল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডের সঙ্গেও সমঝোতা স্মারক (মৌ) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা স্টার্টআপগুলিকে বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশে সহায়তা করবে। খড়গে এদিন বেঙ্গালুরুতে আইআইটি অ্যালামনাই সেন্টারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় একটি নতুন সেন্টার অফ এক্সিলেন্স (AI) এর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এই কেন্দ্রটি ট্রেনিং, ইনকিউবেশন প্রদানের মাধ্যমে স্টার্টআপগুলিকে সহায়তা করবে।

(Feed Source: hindustantimes.com)