দক্ষিণ কোরিয়াতে সামরিক শাসন জারি করেছেন সেখানকার রাষ্ট্রপতি। এদিকে তারপর থেকেই জোর শোরগোল। মঙ্গলবার সেখানকার রাষ্ট্রপতি ইয়ুন সুক ইওল সামরিক শাসন জারি করেছিলেন। আর তারপরেই সংসদে ভোটাভুটি শুরু হয়ে যায় এই সামরিক আইন প্রত্যাহারের জন্য। ন্যাশানাল অ্যাসেম্বলি স্পিকার উ ওন শিক ঘোষণা করেছেন যে আইনপ্রণেতারা গণতন্ত্রকে রক্ষা করবেন। তিনি পুলিশ ও সেনার আধিকারিকদের অনুরোধ করেছেন যে আপনারা অ্যাসেম্বলি চত্বর থেকে সরে যান।
এদিকে সেই ১৯৮০সালের পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন একনায়কতন্ত্র আগে দেখা যায়নি। এদিকে সেখানকার রাষ্ট্রপতির ঘোষণার পরেই সাউথ কোরিয়ার সেনা ঘোষণা করেছে যে সংসদ ও অন্য রাজনৈতিক জমায়েত যেখানে সামাজিক একটি বিভ্রান্তির সম্ভাবনা রয়েছে সেটা করা যাবে না।
সেনার তরফে বলা হয়েছে যে চিকিৎসকরা ধর্মঘটে গিয়েছিলেন তাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে হবে। প্রায় মাসখানেক ধর সেখানকার চিকিৎসকরা ধর্মঘটে নেমেছিলেন। তবে এবার সেনা জানিয়েছে, যারা নির্দেশ অমান্য করবে তাদের ওয়ারান্ট ছাড়াই গ্রেফতার করা হবে।
সাউথ কোরিয়ার আইনে সামরিক শাসন একমাত্র তোলা যায় সংসদের সংখ্য়াগরিষ্ঠের ভোটে। এদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাতে সংখ্য়াগরিষ্ঠ ভোট রয়েছে বলে খবর। ১৯০জন আইনপ্রণেতা যারা সংসদে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা এই সেনা শাসন তোলার পক্ষে ভোট দেন। টিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে এই ভোটের পরেই সেনারা সরতে থাকে। সব মিলিয়ে ৩০০জন আইনপ্রণেতার মধ্য়ে ১৯০জন উপস্থিত ছিলেন। সকলেই সামরিক শাসন তোলার পক্ষে ভোট দেন।
আগে দেখা গিয়েছিল পুলিশ অ্যাসেম্বলিতে প্রবেশের পথে দাঁড়িয়েছিল। ইয়ুনের কনসার্ভেটিভ পিপল পাওয়ার পার্টি হা ডং হন জানিয়েছেন এভাবে সামরিক আইন জারি করা অত্যন্ত ভুল।
একাধিক ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে যে সামরিক শাসন তোলার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে আবেদন করা হচ্ছে। রাস্তাতেও এনিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অনেকে। একাধিক এমপিকে আটক করা হয়েছে বলে খবর। একাধিক বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় জারি হয়েছে সেনা শাসন। সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল ঘোষণা করেছেন কমিউনিস্ট ফোর্স থেকে দেশকে রক্ষার জন্য মার্শাল ল বা সামরিক আইন জারি করা হল। লাইভ সম্প্রচারে তিনি জানিয়েছেন, দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করার জন্য় আমি স্টেট অফ এমার্জেন্সি জারি করছি। কমিউনিস্টদের আগ্রাসন ও রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিকে দূর করতে এই নয়া ব্যবস্থা করা হয়েছে।
(Feed Source: hindustantimes.com)