বড়দিনের আগেই খ্রিস্টমাসে সেরা উপহার, প্রকাশ্যে এল সান্তা ক্লজের ‘আসল’ চেহারা!

বড়দিনের আগেই খ্রিস্টমাসে সেরা উপহার, প্রকাশ্যে এল সান্তা ক্লজের ‘আসল’ চেহারা!

সান্তা ক্লজকে কে না চেনে? কিন্তু, কেউ কি জানে, আসলে কে ছিলেন এই ‘সান্তা ক্লজ’? কেমন দেখতে ছিল তাঁকে? এই প্রথমবার সেই মানুষটিরই চেহারা প্রকাশ্যে এল! প্রায় ১,৭০০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার সামনে আনা হল তাঁর ‘আসল’ মুখমণ্ডল! যার নেপথ্যে রয়েছে বিজ্ঞানীদের অক্লান্ত গবেষণা এবং আধুনিক প্রযুক্তির কেরামতি!

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, সেই অনুসারে, সেন্ট নিকোলাস অফ মাইরা, যাঁকে অনুসরণ করে সান্তা ক্লজের আবির্ভাব হয়েছিল বলে দাবি করা হয়, সেই ব্যক্তিরই খুলি থেকে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য বা ডাটা সংগ্রহ করে ‘ফরেন্সিক পদ্ধতি’তে সান্তা ক্লজের ‘আসল’ মুখমণ্ডলের ছবি তৈরি করা হয়েছে।

কে এই সেন্ট নিকোলাস অফ মাইরা?

তিনি ছিলেন একজন খ্রিস্টান সেন্ট। তথ্য বলে, তিনি মানুষকে উপহার দিতে ভালোবাসতেন। তাঁকে অবলম্বন করেই নাকি পরবর্তীতে ডাচ বা ওলন্দাজ লোককাহিনির চরিত্র ‘সিন্টারক্লাস’-এর আগমন ঘটে। যিনি পরবর্তীতে সারা বিশ্বে সকলের প্রিয় ‘সান্তা ক্লজ’-এ পরিণত হন! এমনকী, সান্তা ক্লজের এই চরিত্রটি ব্রিটিশদের ‘ফাদার খ্রিস্টমাস’ সংস্কৃতির সঙ্গেও মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়।

কিন্তু, সারা বিশ্বে সকলের প্রিয় হওয়া সত্ত্বেও এত দিন পর্যন্ত সান্তা ক্লজের আসল মুখ কারও দেখা হয়ে ওঠেনি। এবার আধুনিক বিজ্ঞান ও গবেষণা সেই খামতিও পূরণ করে দিল বলে দাবি করা হচ্ছে।

এই গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন সিসেরো মোরায়েস। তিনি ‘মিরর’কে জানিয়েছেন, তাঁরা যে মুখমণ্ডল নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছেন, সেটি এমন এক সন্ন্যাসীর, যাঁর মুখের গঠনে একইসঙ্গে ‘দৃঢ়তা ও প্রশান্তি’ রয়েছে।

সবথেকে আশ্চর্যজনক বিষয় হল, এই মুখের সঙ্গে ১৮২৩ সালে রচিত কবিতা – ‘আ ভিজিট ফ্রম সেন্ট নিকোলাস’-এ বর্ণিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুখমণ্ডলের আশ্চর্যজনক মিল রয়েছে।

কীভাবে এই মুখমণ্ডল পুনরায় নির্মাণ করা হল?

সিসেরো জানিয়েছেন, ১৯৫০ সালে লুইগি মারটিনোর মাধ্যমে যে তথ্যভাণ্ডার সংগ্রহ করা হয়েছিল, তাঁরা সেটাই ব্যবহার করেছেন। প্রাথমিকভাবে এই ডেটা বা তথ্যের উপর নির্ভর করে একটি থ্রিডি মুখমণ্ডল তৈরি করা হয়।

এই প্রসঙ্গে সিসেরো বলেন, ‘প্রথমে আমরা একটি থ্রিডি ছবি তৈরি করেছিলাম। তারপর কৌশলগত প্রজেকশনের মাধ্যমে সেই মুখমণ্ডলের প্রোফাইল নির্মাণ করা হয়। এই কাজের জন্য আমরা অ্যানাটমিক্যাল ডিফরমেশন টেকনিক ব্যবহার করি।…’

‘…এটি এমন একটি প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে আসল মানুষটির মুখমুণ্ডলের সঙ্গে ভার্চুয়াল ছবিটিকে যত দূর সম্ভব মেলানো যায়। শেষ পর্যন্ত আমরা যে মুখমণ্ডলটি নির্মাণ করেছি, সেটি আসলে আমাদের হাতে থাকা সমস্ত তথ্য ও যাবতীয় প্রযুক্তি সম্মিলিত ফসল।’

(Feed Source: hindustantimes.com)