ভারতের জাতীয় খেলা হকি। সেই স্বাধীনতার আগে থেকেই এই খেলায় একের পর এক নজির গড়ে চলেছে আমাদের দেশ। এবছর অলিম্পিক্সে পদক জিতেছিল ভারত। এর আগে টোকিও অলিম্পিক্সেও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিল ভারতীয় হকি দল। তবে দিনে দিনে যেন এই খেলার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে ভারতীয়রা, বলে মনে করছেন ভারতীয় প্লেয়াররা। অলিম্পিক্সের পদক জয়ের পর এবার কোনও উন্মাদনা দেখা যায়নি। যা দেখে বেশ হতাশ হয়েছিলেন ভারতীয় হকি দলের মিডফিল্ডার হার্দিক সিং। তিনি একটি পোস্টও করেছিলেন, যেখানে দেখা যাচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার ডলি চাওয়ালাকে ঘিরে সেলফি তোলার হিড়িক, পাশে উপেক্ষিত ভারতীয় হকি দল। আরও একবার তা নিয়ে আক্ষেপ শোনা গেল হার্দিকের গলায়।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি বিষয়টি নিয়ে নিজের হতাশা ব্যক্ত করেন। তবে হার্দিক জানান, ডলি চাওয়ালার মতো ঘটনা একবার নয়, এরকম বহুবার ঘটেছে তাঁদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এই ধরণের ঘটনা প্রথম নয়, আগেও অনেকবার ঘটেছে। আমি শুধুমাত্র তার মধ্যে একটা ঘটনা জানিয়েছিলাম, দেখতে চেয়েছিলাম কী হয়। বিশ্বাস করবেন না আমি অলিম্পিক্স মেডেল জয়ের পরেও অতো ম্যাসেজ পাইনি যত আমি ডলি চাওয়ালার ঘটনাটি জানিয়ে পেয়েছিলেন। আমি শুধু মজা করেই লিখেছিলাম।’
হার্দিক সিং আরও বলেন, ‘আমরা দু’টো অলিম্পিক্সে পরপর মেডেল জিতেছি। এটা আমায় মাঝে মাঝে দুঃখ দেয় যে এবারের ব্রোঞ্জ মেডেল জয়টা খুব বেশি মানুষ মিলে উদযাপন করেনি। আমি নিশ্চিত যে তারা বুঝতে পেরেছিলে যে বিগত ৪১ বছরে (অলিম্পিক্স মেডেল জয়) এবং ৫২ (পরপর মেডেল জয়) বছরে যা ঘটেনি আমরা তা ৪ বছরে করে দেখিয়েছি। যখন অলিম্পিক্সের বছরগুলি আসে তখন আমাদের বলা হয় গোল্ড মেডেল নিয়ে আসার জন্য, বলা হয় এটা করো, ওটা করো। তাহলে মানুষ আমাদের কেন সব সময় সমর্থন করে না? এখানেই পার্থক্য তৈরি হয়ে যায়।’
হার্দিক জানান, অর্ধেক মানুষ কয়েকজন হকি প্লেয়ার বাদে কারোর নাম বলতে পারবেন না। তিনি বলেন, ‘মিডিয়ার এসব ক্ষেত্রে বড় হাত রয়েছে। মানুষ শুধুমাত্র শ্রীজেশ, হরমনপ্রীতদের মতো তারকাদের নাম জানে, আপনি কাউকে অলিম্পিক্সে যেসব হকি প্লেয়াররা খেলেছিল তাদের নাম বলতে বলুন, দেখবেন ১০ জনের নামও বলতে পারবে না।’ এটা সত্যিই একটা হতাশজনক বিষয় বলে মনে করছেন হার্দিক।
(Feed Source: hindustantimes.com)