স্কুলে ছুটি তো বেড়েই চলেছে, সিলেবাস কীভাবে শেষ হবে? চিন্তায় শিক্ষকরা

স্কুলে ছুটি তো বেড়েই চলেছে, সিলেবাস কীভাবে শেষ হবে? চিন্তায় শিক্ষকরা

 

‌করোনার জেরে পুরো জানুয়ারি স্কুল বন্ধ ছিল। তার ওপর গ্রীষ্মের ছুটি দীর্ঘায়িত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রথম সামেটিভের নির্ধারিত সূচি পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে পরের দুটি সামেটিভের আগে সিলেবাস শেষ করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে সরকারি, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত ও পোষিত স্কুলের শিক্ষক–শিক্ষিকারা।

জানা গিয়েছে, প্রথম সামেটিভ মে মাসের প্রথম সপ্তাহে হওয়ার কথা ছিল। গরমের ছুটি বেশি হওয়ার কারণে সেই প্রথম সামেটিভ পিছিয়ে গিয়ে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে হওয়ার কথা। এর ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনেকেই চিন্তায় পড়েছেন। 

তাঁদের দাবি, দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষার আগে তিন মাসের বদলে ৫০ দিন সময় থাকছে। তৃতীয় সামেটিভ পরীক্ষার আগেও এই একই সময় পাওয়া যাচ্ছে। আগামী বছর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস অনুযায়ী হবে বলে জানানো হয়েছে। 

প্রশ্ন উঠছে, সময় কম থাকায় ঠিকমতো সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হবে কিনা। মাধ্যমিকের থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উদ্বেগ বেশি। গরমের ছুটির পর স্কুল খুললে একাদশ শ্রেণির প্র‌্যাকটিক্যাল পরীক্ষা হবে। সেক্ষেত্রে একাদশ শ্রেণির ফল প্রকাশ ১৮ জুলাইয়ের আগে হবে না। সেক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণির টেস্ট পরীক্ষার আগে পুজোর ছুটি বাদ দিয়ে চার মাসও সময় পাবেন না পরীক্ষার্থীরা।

এই প্রসঙ্গে শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশের অভিমত, দ্রুত সিলেবাস শেষ করাতে হবে। সেক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা বুঝতে পারবেন কী?‌ যে সব ছাত্রছাত্রীরা স্কুলের ওপর নির্ভর করে, তাঁদের একটা লার্নিং গ্যাপ তৈরি হবেই। পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির মতে, যেহেতু সিলেবাস অপরিবর্তিত, কিন্তু সময় কম। সেক্ষেত্রে একটু অসুবিধা তো হবেই। উচ্চমাধ্যমিকের পড়ুয়াদের যেহেতু নিট ও জয়েন্ট মেন–এ বসতে হয়, সেক্ষেত্রে তাঁদের অসুবিধা মধ্যে পড়তে হবে।

 

(Source: hindustantimes.com)