Cooch Behar News: এদিন কোচবিহারে সরকারি বাসের এক চালককে আচমকাই বসে উঠে মারধরের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে।
বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বাসের কর্মীরা সঙ্গে আহত বাস চালক
কোচবিহার: রাস্তা আটকে রেখে দেওয়া হয়েছে সরকারি বাস। রাস্তার দু’পাশে নিত্যযাত্রীদের যানজট। রাস্তার মাঝে সরকারি বাসের কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মুহুর্তে তীব্র চাঞ্চল্যের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় প্রাণ নারায়ণ রোড এলাকায়। পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে ছুটে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ কর্মীরা। এদিন হঠাৎ করেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় কোচবিহার কোতোয়ালি থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে।
ঘটনা সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে, ”এদিন সন্ধ্যে নাগাদ সরকারি বাসের এক চালককে আচমকাই বসে উঠে মারধরের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ ওঠে এক পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। রাস্তা দিয়ে বাইক নিয়ে যাওয়ার সময় ওই পুলিশ কর্মী বাইক থামিয়ে বাসে ওঠেন। এরপর নিজের হেলমেট দিয়ে এলোপাথারি মারধর করতে শুরু করেন বাসের চালককে। ঘটনায় মুহূর্তে জ্ঞান হারান বাসের চালক। সেইসময় বাসে উপস্থিত ছিলেন দু’জন যাত্রী ও বাসের কন্ডাক্টর।”
বাসের চালক দীপঙ্কর দাস জানান, ”পুলিশ কর্মী আচমকাই বাস থামিয়ে বাসে ওঠেন। এরপর অশ্রাব্য ভাষায় বেশকিছু গালিগালাজ করেন তাঁকে। তারপর মুহূর্তেই নিজের মাথার হেলমেট খুলে তাঁকে মারতে শুরু করেন হেলমেট দিয়েই। সেই সময় তিনি মারধরের কারণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।” বাসের কন্ডাক্টর আলোক দাস জানান, ”বিনা দোষেই বাসের চালককে মারধর করেন সেই পুলিশ কর্মী। মূলত নিজের ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করেন তিনি।”
এই বিষয়ে এনবিএসটিসি-এর চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় জানান, ”ঘটনাটি সত্যিই নিন্দনীয়। বিনা কারণে পুলিশ কর্মীর আইন নিজে হাতে তুলে নেওয়া একেবারেই উচিত হয়নি। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ওই পুলিশ কর্মীর শাস্তি হোক এটাই জেলা পুলিশের কাছে প্রত্যাশা।” জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ”অভিযোগ পাওয়ার পর গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ কর্মীকে খুঁজে বের করে অবশ্যই শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”
যদিও আহত ওই বাসের চালককে চিকিৎসার জন্য কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমান সময়ে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে প্রকাশ্য রাস্তায় ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে পুলিশ কর্মীর বাসের চালককে মারধর করার ঘটনায় তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে জেলায়।
Sarthak Pandit
(Feed Source: news18.com)