ই-বাস রাস্তায় নামাতে রাজ্যকে কত ভর্তুকি, জানতে চাইল নবান্ন

ই-বাস রাস্তায় নামাতে রাজ্যকে কত ভর্তুকি, জানতে চাইল নবান্ন

‌বেসরকারি মালিকানায় পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগমের ১,১৮০ টি পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক বাস রাস্তায় নামছে। কিন্তু তার আগে এই বাসগুলি নামাতে গেলে রাজ্যকে কত টাকা ভর্তুকি দিতে হবে, তা পরিবহণ দফতরের থেকে জানতে চাইল নবান্ন। পরিবহণ নিগমের চলতি পরিকাঠামোয় বাসগুলি চালানো সম্ভব হবে কিনা, সেই বিষয়টিও অর্থ দফতরের তরফ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে।

প্রশাসন সূত্রে খবর, ইলেকট্রিক বাসগুলিকে রাস্তায় নামানোর আগে পরিবহণ দফতরের কাছ থেকে ছয়টি প্রশ্নের উত্তর চেয়েছে নবান্ন। টাটা মোটরস টেন্ডারের মাধ্যমে এই রাজ্যে ই-বাস চালানোর জন্য নির্বাচিত হয়েছে। টিকিট বিক্রির টাকা অবশ্য টাটা মোটরস নেবে না। সেটি নেবে রাজ্য সরকার। এর জন্য প্রতিটি বাসে একজন করে কন্ডাকটার থাকবে। 

কিন্তু এই একজন করে কন্ডাকটার দিয়ে কী বাস চালানো সম্ভব হবে, সেই প্রশ্ন পরিবহণ দফতরের কাছ থেকে করেছে নবান্ন। এই বাসগুলি চালানোর জন্য যে সংখ্যায় কন্ডাকটর লাগবে, সেটি কী পরিবহণ দফতরের কাছে আছে, সেই প্রশ্নও করা হয়েছে। তাহলে কী নতুন করে কন্ডাকটার নিয়োগ করতে হবে, সেই প্রশ্নও করা হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, আরও কিছু প্রশ্ন রাখা হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, কলকাতার মতো ঘিঞ্জি এলাকায় দৈনিক ১৬৭ থেকে ১৯৪ কিলোমিটার বাস চালানো সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেহেতু শর্ত অনুযায়ী, ১২ মিটার দীর্ঘ প্রতিটি ই-বাসের জন্য দৈনিক ১৯২ কিলোমিটার ও ৯ মিটার দীর্ঘ ই-বাসের জন্য দৈনিক ১৬৫ কিলোমিটার ভাড়া রাজ্যকে দিতে হবে, সেই কারণেই এই প্রশ্ন অর্থ দফতরের তরফ থেকে করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিদ্যুতের দামের বিষয়টিকেও নজরে রাখা হচ্ছে। টেন্ডারের সময়ে দিল্লির বিদ্যুতের দামের প্রেক্ষিতে দরপত্র হয়েছিল। দিল্লির থেকে কলকাতায় ইউনিট পিছু বিদ্যুতের দাম বেশি। ফলে এক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা হবে সেটি রাজ্যকে মেটাতে হবে।