প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? গুগল ড্রাইভ লিঙ্ক থেকে উধাও অতুল সুভাষের সুইসাইড নোট-চিঠি

প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? গুগল ড্রাইভ লিঙ্ক থেকে উধাও অতুল সুভাষের সুইসাইড নোট-চিঠি

তাজ্জব ব্যাপার! বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা অতুল সুভাষের লেখা ২৪ পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট এবং একটি চিঠি – যার শিরোনাম ছিল ‘মাইলর্ডস’ – সেই দু’টি জিনিসই সংশ্লিষ্ট গুগল ড্রাইভ লিঙ্ক থেকে স্রেফ উবে গিয়েছে!

উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেরই প্রথম দিকে আত্মঘাতী হন বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ, ৩৪ বছরের অতুল সুভাষ। তার ঠিক আগে একটি দীর্ঘ ভিডিয়ো বার্তা রেকর্ড করেন তিনি। সেইসঙ্গে, ২৪ পৃষ্ঠার ওই সুইসাইড নোট এবং ওই চিঠিটিও লিখে রেখে যান।

এই সবক’টি জিনিসই অনলাইলাইনে পোস্ট করেন তিনি। পরবর্তীতে যা ভাইরাল হয়। আত্মহত্যা করার আগে অতুল ওই সুইসাইড নোট এবং ‘মাইলর্ডস’ শীর্ষক চিঠিটি একটি গুগল ড্রাইভ লিঙ্কের মাধ্যমে শেয়ার বা পোস্ট করেছিলেন।

কিন্তু, এখন সেই লিঙ্কটিতে রয়েছে কিছু অন্য জিনিসপত্র! লক্ষ্যণীয় বিষয় হল, ‘মাইলর্ডস’ নামাঙ্কিত ওই চিঠিতে বিচারব্যবস্থার এক ভয়াবহ রূপ তুলে ধরেছিলেন অতুল। বিস্তারিতভাবে জানিয়েছিলেন, কীভাবে বিচারের নামে তাঁর উপর কার্যত অত্য়াচার চালানো হয়েছে!

এহেন দু’টি গুরুত্বপূর্ণ নথি এভাবে তার ভার্চুয়াল অবস্থান থেকে উড়ে যাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নেটিজেনরা।

তাঁদের রাগের আরও কারণ হল – এখন সেই গুগল লিঙ্কটি খুললে সেখানে একটি কবিতা পাওয়া যাচ্ছে। যার শিরোনাম – ‘ডেথ নোওজ নো ফিয়ার’। এছাড়া, রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে লেখা একটি চিঠিও আছে সেখানে।

সেই চিঠির বিষয়বস্তুও ভারী অদ্ভূত। যেখানে অতুলের নাম করেই দাবি করা হচ্ছে, তিনি ‘দোষী নন’ (নট গিল্টি)। বলা হয়েছে, নিকিতা তাঁর বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ করেছেন, তার কোনওটার জন্যই তিনি দোষী নন।

এছাড়াও, ওই গুগল ড্রাইভ লিঙ্কে একটি আলাদা ফোল্ডার তৈরি করা হয়েছে। যার নাম – ‘মেমোরিজ’। তার ভিতর অতুল সুভাষের ব্যক্তিগত কিছু ছবি রয়েছে।

এই বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। কিন্তু, তাতে আলোচনা কিংবা সমালোচনা থেমে থাকছে না। অনেকেই সরাসরি অভিযোগ করছেন, আসলে গোটা বিষয়টি কোনও কারণে ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

নেট নাগরিকদের একাংশের অভিযোগ, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এবং সুকৌশলে অতুল সুভাষের মামলাটির সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যপ্রমাণ লোপাট করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

তবে, এসব করে ওই প্রমাণ মুছে ফেলা যায়নি। কারণ, অনেকেই বহু আগে ওই নথিগুলি নিজেদের ব্যক্তিগত ডিভাইসে ডাউনলোড করে রেখেছিলেন। বাকিরাও যাতে সেই নথির নাগাল পান, তার জন্য ইউজাররা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে সেগুলি পুনরায় আপলোড করছেন।

(Feed Source: hindustantimes.com)