রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে (India Bangladesh Border) বিক্ষোভ মিছিল দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। সীমান্ত এলাকায় BSF-এর নিরাপত্তা খতিয়ে দেখলেন তিনি।কথা বললেন সীমান্ত রক্ষীদের সঙ্গেও। ‘ওষুধই পাবে না, অর্ধেক লোক মরে যাবে‘, এদিন বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিলীপের !
বাংলাদেশের মৌলবাদীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উগ্রপন্থা বন্ধ হওয়া উচিত। যারা নেতা আছেন, ভাবা উচিত। বোঝা উচিত। ভারতের শক্তি আছে।Smashed করে দেবে বাংলাদেশকে। পাকিস্তানকে যদি নাকে খত দিতে পারে, ৯০ হাজার সৈন্যকে বন্দি করে আনতে পারে ভারতের সেনা। আমরা ওদের মত লোকেদের সঙ্গে লড়তে পারি না। সিংহের সঙ্গে কুকুরের লড়াই কখনও হয় না। হাওয়া দেওয়াটাই যথেষ্ট। আদৌ কোনও সামরিক বিভাগ আছে বাংলাদেশের ? কোনওদিন বাংলাদেশ যুদ্ধ করেছে ? চুরি করে ভারতবর্ষে ঢুকে খায়।’ প্রসঙ্গত, ২২ নভেম্বর, রংপুরের মাহিগঞ্জ কলেজ প্রাঙ্গনে সমাবেশ করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। সেখানে বক্তৃতা দেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। হিন্দুদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। অভিযোগ এরপর থেকেই তাঁর উপর রোষ বাড়তে থাকে ইউনূস সরকারের প্রশাসনের। এরপরই দেড় মাস আগে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।
গণতন্ত্র প্রহসনে পরিণত হয়েছে পদ্মাপারে। জামিন পাননি বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। মূলত, একমাস পিছিয়ে গিয়েছে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন-মামলার শুনানি।কেন আইনজীবীর ব্যবস্থা করতে পারল না বাংলাদেশ সরকার? বিনা বিচারে জেলে রাখারা চক্রান্ত? প্রশ্ন উঠছে। শেষবার শুনানির দিন তাঁর হয়ে সওয়াল করার জন্য় একজনও আইনজীবীও আদালতে আসতে পারলেন না! বলা যেতে পারে ভয় দেখিয়ে আসতে দেওয়া হল না!এক আইনজীবী মৌলবাদীদের মারের জেরে হাসপাতালে মৃত্য়ুর সঙ্গে লড়াই করছেন!হামলা ও মামলার জেরে সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বাকি ৫০ জন আইনজীবীও অনুপস্থিত রইলেন!স্পষ্ট হয়ে গেল, চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে জেলবন্দি করে রাখার জন্য বাংলাদেশের ন্যক্কারজনক ছক! আইনজীবীর অভাবে হল না শুনানি, মিলল না জামিন। শুনানি পিছিয়ে গেল এক মাস।আশঙ্কা সত্যি হল, সম্প্রতি এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন কলকাতা ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস।
(Feed Source: abplive.com)