#কলকাতা: ইস্টবেঙ্গল নিয়ে সমস্যার সমাধান কবে হবে কেউ জানে না। মনে করা হচ্ছিল অতীতের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন বছরের প্রথম থেকে ঝাঁপিয়ে পড়বেন কর্মকর্তারা। কিন্তু লাল হলুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় কোশ্চেন মার্ক হয়ে গেল এখনও। পরিষ্কার করে কিছুই বলছেন না কর্তারা। ব্যাকুলতা বেড়ে চলেছে সমর্থকদের। ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।
ইস্টবেঙ্গল এবং বিনিয়োগকারী সংস্থা শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে সমস্যা মেটাতে বারবার আসরে নামতে দেখা গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফটবলারদের একটি কমিটিকে। লাল-হলুদের প্রাক্তন ফুটবলারদের এই কমিটি বিভিন্ন সময়ে ক্লাবের বিপদের মুখে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
ইমামিকে ইস্টবেঙ্গলের নতুন বিনিয়োগকারী হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করার পর ২৬ দিন অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পর এখনও সই-সাবুদ না হওয়ায় রীতি মতো বিরক্ত প্রাক্তন ফুটবলারদের এই কমিটি। সোমবার এই কমিটির পক্ষ থেকে ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, বিকাশ পাঁজি, মিহির বসু, কৃষ্ণেন্দু রায় এবং সুমিত মুখোপাধ্যায় ক্লাবকে একটি চিঠি পাঠিয়ে তাঁদের উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেছে।
তাঁরা নিজেদের চিঠিকে লিখেছেন, ইস্টবেঙ্গলের অগুণিত সমর্থকদের মতো আমরাও চিন্তিত ক্লাবের ভবিষ্যত নিয়ে। ২৪-২৫ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও না চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে না প্লেয়ার সই হয়েছে। এই অবস্থায় আমরা চাই ক্লাব এবং ইনভেস্টারের যৌথ উদ্যোগে এবছর ইস্টবেঙ্গল তার পুরনো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনুক।
ক্লাবের কর্তাদের প্রাক্তন ফুটবলাররা এ-ও বুঝিয়ে দিয়েছে কোনও ভাবেই হাতের সামনে পাওয়া ফুটবলার সই করিয়ে কোনও মতে আইএসএল-এ নামা চলবে না ক্লাবের ঐতিহ্যেরা কথা মাথায় রেখে। তাঁরা বলেছেন, আপনারা তখনই টিম নামান যখন আইএসএল-এর উপযুক্ত টিম করতে পারবেন। আর যদি না পারেন তবে লোক দেখানো টিম নামিয়ে ক্লাবের ইতিহাসকে কালিমালিপ্ত করবেন না।
তা হলে কলকাতা লিগ, ডুরান্ড কাপ, আইএফএ শিল্ড খেলুন কিন্তু এ ভাবে আইএসএল-এ খেলবেন না। আইএসএল-এ খেলতে হলে আইএসএল-এর মতো করেই খেলুন। নতুন মরসুমের দল গঠনের ক্ষেত্রে ক্লাবের অনুরোধে আই লিগ এবং সন্তোষ ট্রফি দেখে বেশ কিছু প্রতিভাবান ফুটবলারের একটি তালিকা ক্লাবের হাতে তুলে দিয়েছিল এই প্রাক্তন ফুটবলারদের কমিটি।
এদিন সেই ব্যপারে কত দূর ক্লাব এগিয়েছে সেই বিষয়েও জানতে চেয়েছেন এই কিংবদন্তি প্রাক্তনীরা। তবে এফ সি গোয়া থেকে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইভান গঞ্জালেসকে সই করালেও, তিনি এখনও অপেক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে এরকম অপেক্ষা করতে করতেই ইস্টবেঙ্গলের ঘরের ছেলে রফিক হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। গঞ্জালেস অপেক্ষা করেন কতদিন সেটাই দেখার। ইস্টবেঙ্গলের সেই ছবি আর বদলায় না। সব ক্লাব যখন দল গোছাতে ব্যস্ত, তখন ইস্টবেঙ্গল কোন টুর্নামেন্টে খেলবে সেটাই জানে না।