সৌভিকের কাছে মুম্বই-হায়দরাবাদের অফার! ফের মাঝমাঠে ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলের?

সৌভিকের কাছে মুম্বই-হায়দরাবাদের অফার! ফের মাঝমাঠে ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলের?

চলতি ISL-এ শুরুটা ভালো ছিল না ইস্টবেঙ্গলের। প্রথম দিকের ৭টি ম্যাচের একটিতেও জয় তুলতে ব্যর্থ হয় লাল-হলুদ শিবির। সদ্য নতুন কোচ অস্কার ব্রুজোর হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল তাদের সমর্থকরা। তারই মধ্যে একের পর এক দুঃসংবাদ আসতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই চোটের কবলে মাদিহ তালাল-সল ক্রেস্পোর মতো তারকারা। এই মরশুমের মতো আর মাঠে নামতে পারবেন না তালাল, বৃহস্পতিবার ক্লাবের তরফে বিবৃতি দিয়ে সেই কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। এবার আরও এক আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে। ISL-এর দুই ক্লাব হায়দরাবাদ এফসি এবং মুম্বই সিটি এফসির তরফে নাকি সৌভিক চক্রবর্তীর কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে ময়দানে।

এই মরশুমে হায়দরাবাদ এবং মুম্বইয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। সেই কারণে আসন্ন শীতের ট্রান্সফার উইন্ডোকে কাজে লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে তারা। জানা যাচ্ছে, হায়দরাবাদের তরফে তাদের পুরোনো প্লেয়ারকে ঘরে ফেরাতে বেশ চমকপ্রদ অফার দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ১১ ম্যাচ খেলে ৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ১২ নম্বরে রয়েছে হায়দরাবাদ। বিগত দুই মরশুম ধরে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে বেশ বেগ পেতে হয়েছে এই ফুটবল ক্লাবকে। তবে এই বছর সেই সমস্যা মিটেছে। নতুন বিনিয়োগকারী সংস্থা দলকে নতুন ভাবে গড়ে তুলতে বেশ আগ্রহী। তাই শীতের ট্রান্সফার উইন্ডোকে মাথায় রেখে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে তারা। নিজেদের মাঝ মাঠকে শক্ত করতে সৌভিককে চাইছে তারা।

সৌভিক চক্রবর্তী এই মরশুমে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে বেশ ভালো খেলছেন। ক্রেসপো-তালালের অনুপস্থিতিতে মাঝমাঠের ভরসা এখন তিনি। গত ম্যাচে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে বেশ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে ফুটবল খেলেছিলেন সৌভিক। তবে এখন প্রশ্ন সৌভিককে ছাড়তে আদৌ রাজি হবে ইস্টবেঙ্গল? কার্লস কুয়াদ্রাত হোক বা অস্কার ব্রুজো, লাল-হলুদ কোচদের পরিকল্পনার বড় অংশ তিনি। যদি অফার পাওয়ার বিষয়ের কথা অস্বীকার করেছেন এই বঙ্গসন্তান।  তিনি জানিয়েছেন, কোনও ক্লাবের তরফেই তাঁর সঙ্গে কথা বলা হয়নি। ISL-র ভরা মরশুমে কোনও ফুটবলার যে অফার পেলে তা স্বীকার করবেন না সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হবে সেটা সময় বলবে।  এটাও ঠিক যে বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে করে ইস্টবেঙ্গল যে সৌভিককে ছাড়তে রাজি হবে না তা ধরেই নেওয়া যায়।

(Feed Source: hindustantimes.com)