দক্ষিণ চায়না মর্নিং পোস্টের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনা শুরু হয় যখন হুবেই প্রদেশের শিন একটি বিয়ের পরিকল্পনার বিজ্ঞাপন দেখেন। সেখানে তিনি শাওইউ নামের এক নারীর সঙ্গে পরিচিত হন। দ্রুতই তারা একে অপরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেন এবং তাদের মধ্যে একটি রোমান্টিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

কিন্তু সম্পর্কটি শীঘ্রই অর্থনৈতিকভাবে শোষণের দিকে মোড় নেয়। শাওইউ দাবি করেন যে এটি তাদের প্রথাগত নিয়ম, এবং শিনকে ২২ লাখ টাকা “বধূ মূল্য” হিসেবে দিতে বলেন। এছাড়াও, তিনি নিজের বোনের উপহার এবং মায়ের চিকিৎসার খরচ বাবদ আরও টাকা চান।

শিনের সন্দেহ বাড়তে থাকলেও শাওইউ তাকে আশ্বস্ত করেন, ছবি পাঠান এবং ফোনে কথা বলেন। এক বছরের মধ্যে শিন শাওইউকে ৫৫ লাখ টাকারও বেশি পাঠান।

অনলাইন সম্পর্ক এবং অর্থ লেনদেনের কয়েক মাস পরে, শিন এবং শাওইউর পরিবার দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দেখা করার পর শিন লক্ষ্য করেন যে শাওইউর চেহারা ছবির সঙ্গে মিলছে না। তিনি জানতে চাইলে শাওইউ দাবি করেন যে ছবিগুলো ফিল্টার দিয়ে সম্পাদিত।

তবুও, শিন বিয়ের প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে থাকেন এবং আরও টাকা পাঠান। কিন্তু যখন তিনি শাওইউর ফোনে কিছু অস্বাভাবিক বার্তা দেখেন এবং তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তখন শাওইউ দাবি করেন যে তার ফোন হ্যাক হয়েছে।

ঘটনাটি নাটকীয় মোড় নেয় যখন শাওইউর “বোন” পরিচয়ে এক নারী শিনের সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার বিষয়ে আলোচনা করতে যোগাযোগ করেন। শিন তখন নিজে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তিনি চমকে যান, কারণ তিনি জানতে পারেন যে শাওইউর “বোন” আসলে শাওইউ নিজেই।

আরও তদন্তে জানা যায় যে শাওইউ এবং তার পুরো পরিবার এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। তিনি এবং ভাড়াটে অভিনেতারা পুরো প্রতারণার পরিকল্পনা করেছিলেন শিনের কাছ থেকে অর্থ আদায় করার জন্য। এছাড়াও জানা যায়, শাওইউ ইতিমধ্যেই বিবাহিত এবং তার একটি সন্তান রয়েছে। তিনি তাঁর পরিবারকে আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য এই বিয়ের প্রতারণার কৌশল অবলম্বন করেছিলেন।

এই বড় প্রতারণার শিকার হয়ে শিন স্থানীয় পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ নিশ্চিত করে যে শাওইউ এবং তার সহযোগীরা একটি সুসংগঠিত অপরাধ চক্রের অংশ যারা অনলাইনে প্রেম ও বিয়ের মাধ্যমে নিরীহ মানুষদের লক্ষ্যবস্তু বানায়।