Pushpa 2 Stampede Case: ‘পুষ্পা ২’ দেখতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু, সামনে এল থিয়েটারের হাড়হিম সিসিটিভি ফুটেজ, এবার কী হবে?

Pushpa 2 Stampede Case: ‘পুষ্পা ২’ দেখতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু, সামনে এল থিয়েটারের হাড়হিম সিসিটিভি ফুটেজ, এবার কী হবে?

Pushpa 2 Stampede Case: ‘পুষ্পা ২’ দেখতে গিয়ে পদপিষ্ট-কাণ্ডে নয়া মোড়, সামনে এল স্ক্রিনিংয়ের দিন সন্ধ্যা থিয়েটারের সিসিটিভি ফুটেজ। ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, স্ক্রিনিংয়ের আগে সন্ধ্যা থিয়েটারের বাইরে ব্যাপক ভিড়।

থিয়েটারের হাড়হিম সিসিটিভি ফুটেজ

হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২’-এর স্ক্রিনিংয়ের সময় পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়। সামনে এল নতুন সিসিটিভি ফুটেজ। সেদিন ঠিক কী হয়েছিল, তা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। পুলিশের অভিযোগ, অভিনেতা অল্লু অর্জুনের হঠাত আগমনের কারণেই ভিড় উত্তাল হয়ে ওঠে। ফলে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, স্ক্রিনিংয়ের আগে সন্ধ্যা থিয়েটারের বাইরে ব্যাপক ভিড়। হলে ঢোকার জন্য গেটের মুখে ঠেলাঠেলি করছেন দর্শকরা। এর কিছুক্ষণ পরই পদপিষ্ট হয়ে ৩৫ বছর বয়সী মহিলার মৃত্যু হয়। তাঁর ৮ বছরের ছেলে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। কমিশনার সিভি আনন্দ থিয়েটারে ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। তারপরই অভিনেতা অল্লু অর্জুনকে সমন পাঠানো হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চিক্কাদপল্লি থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ।

পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় অভিনেতা অল্লু অর্জুন, তাঁর নিরাপত্তা রক্ষী এবং সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। অভিনেতা এবং তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরুদ্ধে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরপরই ১৩ ডিসেম্বর অল্লু অর্জুনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে ওই দিনই তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পান অভিনেতা। ১৪ ডিসেম্বর সকালে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

পুলিশের দাবি, অল্লু অর্জুনের আচমকা আগমনের কারণেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজেও দেখা যাচ্ছে, অভিনেতাকে এক ঝলক দেখার জন্য সন্ধ্যা থিয়েটারের গেটে ঠেলাঠেলি করছেন ভক্তরা। পুলিশ বলেছে, অল্লু অর্জুন যখন মেন গেটে পৌঁছন তখনই হুড়োহুড়ি শুরু হয়। শয়ে শয়ে ভক্ত তাঁর দিকে এগোতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে অভিনেতার নিরাপত্তারক্ষী এবং সিনেমা হলের বাউন্সাররা ভিড় হঠাতে শুরু করেন।

হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার সিভি আনন্দ গত সপ্তাহে বলেছিলেন, বাউন্সার এবং নিরাপত্তারক্ষীরা “অবিবেচকের মতো কাজ করছিল।” তাঁর কথায়, “বিশাল সংখ্যক দর্শক উপস্থিত হয়। প্রচুর পুলিশও ছিল। কিন্তু বাউন্সাররা সবাইকে ঠেলে সরিয়ে দেয়। ভিআইপিকে (অল্লু অর্জুন) বাঁচানোই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল।” অভিনেতার বিরুদ্ধে রোড শো করার অভিযোগও ওঠে। তবে অল্লু অর্জুন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি শুধু উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে ভিতরে চলে গিয়েছিলাম। পুলিশ আমাকে চলে যাওয়ার কথা বলেনি… আমার ম্যানেজার বলেছিল, অনেক ভিড় হয়ে গিয়েছে। তিনি আমাকে চলে আসতে বলেছিলেন।”