২৭-এ পা রাখলেন নীরজ, জন্মদিনে ‘বন্ধু’-কে শুভেচ্ছা পাকিস্তানের নাদিমের

২৭-এ পা রাখলেন নীরজ, জন্মদিনে ‘বন্ধু’-কে শুভেচ্ছা পাকিস্তানের নাদিমের

মঙ্গলবার ২৭ বছর বয়সে পদার্পণ করলেন নীরজ চোপড়া। এই বছরটা খুব বেশি ভালো যায়নি তাঁর। চোট আঘাতে জর্জরিত হয়েছেন বারবার। ২০২১ টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জয়ের পর ২০২৪-এ প্যারিসেও তাঁর থেকে সোনা জয়ের প্রত্যাশা ছিল দেশবাসীর। কিন্তু পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিমের কাছে পরাজিত হন তিনি। ৯২.৯৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন থ্রো করে অলিম্পিক্সে রেকর্ড গড়েন নাদিম, সঙ্গে জিতে নেন সোনা। ৮৯.৪৫ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন থ্রো করে দ্বিতীয় স্থান দখল করেন নীরজ। দেশের জন্য জয় করেন রুপো। যদিও এরপর নিজের হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি। নিজের কাছেও তাঁর সোনা জয়ের প্রত্যাশাই ছিল। কিন্ত চোট আঘাতে জর্জরিত নীরজ আটকে যান পাকিস্তানের নাদিমের কাছে।

তবে এদিন কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, প্রতিপক্ষের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এক্স হ্যান্ডেলে শুভেচ্ছা জানালেন আর্শাদ। তিনিই লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন আমার বন্ধু এবং অ্যাথলিট নীরজ চোপড়া। তোমার সুখ, সাফল্য, উন্নত স্বাস্থ্য এবং আনন্দে ভরা একটি বছর কামনা করছি। তোমার আগামী দিনগুলি সুন্দর হোক!’ স্বভাবতই এই পোস্ট দেখে বেশ খুশি নেটিজেনরা। কাটা তারের বাধা থাকলেও এই দুই ক্রীড়াবিদদের ঘিরে নিজের নিজের দেশে আবেগের কোনও খামতি নেই। তবে শুধু নিজ নিজ দেশ নয় নীরজের প্রচুর অনুরাগী রয়েছেন পাকিস্তানে। আবার নাদিমের প্রতি ভারতীয়দেরও ভালোবাসার খামতি নেই। এক নেটিজেন তো কমেন্টে লিখেছেন, ‘দু’জনই কিংবদন্তি।’ অনেকে আবার অলিম্পিক্সের শেষে দুই ক্রীড়াবিদের মায়ের করা মন্তব্যের পেপার কাটিংও পোস্ট করেছেন।

উল্লেখ্য, প্যারিস অলিম্পিক্সের পর এবছর নীরজ চোপড়া বেলজিয়ামে ডায়মন্ড লিগে অংশগ্রহণ করেন। সেখানেও ফাইনালে তিনি দ্বিতীয় স্থান দখল করেন। নীরজ ৮৭.৮৬ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন থ্রো করেন। যেখানে প্রথম স্থানাধিকারী অ্যান্ডারসন পিটারসন ৮৭.৮৭ মিটার দূরত্বে জ্যাভলিন থ্রো করেন। সেই প্রতিযোগিতায়ও রুপো নিয়ে সন্তুষ্ট হতে হয় নীরজকে। পরবর্তীতে নীরজ চোপড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, ভাঙা হাত নিয়ে তিনি ডায়মন্ড লিগে অংশ নিয়েছিলেন।

তিনি লিখেছিলেন, ‘সোমবার আমার যখন এক্স রে করা হয় হাতের তখন একটি ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে। আমি প্র্যাক্টিসের সময় আঘাত পাই। এটা আমার কাছে আরও একটা বেদনাদায়ক চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমি আমার দলের সাহায্যে ডায়মন্ড লিগে অংশ নিতে পারি। এটাই এবছর আমার শেষ প্রতিযোগিতা। আমি এবছর আমার নিজের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছি। কিন্তু আমার মনে হয় আমি এবছর অনেক কিছু শিখেছি। আমি আবার সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ফিরে আসব’।

(Feed Source: hindustantimes.com)