বয়স ১০ বছর। আর এই বয়সেই বালিকার স্তনযুগল কার্যত পরিণত বয়স্কের স্তনের আকারের। এই ঘটনা এক বিরল রোগের উদাহরণ। চিকিৎসার পরিভাষায় একে বলে জাইগানটোম্যাটসিয়া। আর এই রোগের শিকার বহু বালিকা। এই রোগের শারীরিক অস্বস্তির সঙ্গে সামাজিক বিড়ম্বনারও প্রবল শিকার হয় মেয়েরা।
এমন প্রকাণ্ড আকারের স্তনের গঠন অল্প বয়সে আসতেই বহু মেয়েই তার পরিচিত মহলে আলাদাভাবে পরিচিত হওয়ার মতো সমস্যায় পড়েন। বাড়তে থাকে মানসিক চাপও। সদ্য শহর কলকাতার এক পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া এই রোগের শিকার হয়। মেয়ের অতিকায় স্তনের সমস্যা নিয়ে তার অভিভাবকরা দ্বারস্থ হন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ব্রেস্ট অ্যান্ড এন্ডোক্রাইন বিভাগের চিকিৎসকের কাছে। এই পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি চিকিৎসা শুরু হয় মেয়েটির। চিকিৎসকরা বলেন, কম বয়সে এমন ভারীস্তন স্বাভাবিক নয়। চিকিৎসকদের পরামর্শ স্তনে টিউমার থাকলেও অভিভাবকরা টের না পেলে এমনটা হয়। আবার যদি জাইগানটোম্যাসটিয়ার মতো রোগ থাকে শরীরে তাহলেও এমনটা হয়।
মূলত, মেয়েদের ক্ষেত্রে কিশোরী বয়সে ঋতুস্রাব শুরু হলে স্তনের আকার বাড়তে থাকে। তবে শহরের যে রোগীর কথা বলা হচ্ছে এখানে তার ক্ষেত্রে রোগটি ছিল বিরল। কারণ ঋতুস্রাব শুরুর আগেই আচমকা তার স্তনের আকার প্রকাণ্ড হতে থাকে।
চিকিৎসকরা বলছেন, লাইফস্টাইলের দোষেই অনেক সময় এমন রোগের শিকার হতে হয়। এছাড়াও প্রবল নগরায়ণের জেরে শরীরে যে কুপ্রভাব পড়তে থাকে তারই ফলে এমন রোগ জন্ম নেয়। তবে শহরের এই রোগীর বিরলতম রোগকে সারিয়ে ফেলতে পেরেছেন চিকিৎসকরা। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ধৃতিমান মৈত্র , পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী, অনিমেষ মাইতি সহ চিকিৎসক হেমাভ সাহা ও শুভ্রজিৎ নাথ, দেবাশিস ঘোষদের চিকিৎসায় মেয়েটির স্তনযুগলকে বয়সুপযোগী করা হয়েছে।
(Source: hindustantimes.com)