#নয়াদিল্লি: সম্প্রতি বেশ বড় রকমের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেল স্পাইসজেটের (SpiceJet) একটি বিমান। ১৮৫ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি দিল্লি যাচ্ছিল। কিন্তু আচমকা বিপদ আসায় আপৎকালীন অবতরণ করতে হয় পটনা বিমানবন্দরে।
বিমানের কর্মীরা, সহ যাত্রীরা প্রত্যেকেই অক্ষত আছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী একটি পাখি এঞ্জিনে এসে ধাক্কা মারায় চটজলদি প্লেন নামিয়ে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন পাইলট।
কারণ পাখি এসে ধাক্কা মারায় বিমানের তিনটি ফ্যান ব্লেড নষ্ট হয়ে যায় এবং ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। ক্যাপ্টেন গুরুচরণ অরোরা বলেন যে ককপিটে বসে তিনি কোনও আগুন লাগার ইঙ্গিত পাননি। আগুন লেগেছে সেটা দেখতে পান যাঁরা মাটিতে অর্থাৎ নিচে ছিলেন। আগুন দেখতে পান এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের কর্মীরাও।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিরোনামে এসেছেন ক্যাপ্টেন মনিকা খান্না। পটনা-দিল্লি স্পাইস জেট বোয়িং ৭৩৭-এর ক্যাপ্টেন খান্নার সময়োচিত সিদ্ধান্তেই বেঁচে গিয়েছেন বিমানের ১৮৫ জন যাত্রী।
বিমানের দায়িত্বে থাকা মনিকা যখন জানতে পারেন যে একটি ইঞ্জিনে আগুন লেগে গিয়েছে, তিনি তৎক্ষণাৎ ক্ষতিগ্রস্ত ইঞ্জিন বন্ধ করে দেন এবং পটনা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করার সিদ্ধান্ত নেন।
স্পাইস জেটের বিমান চালনার প্রধান ক্যাপ্টেন গুরুচরণ অরোরা ভূয়সী প্রশংসা করলেন মনিকা ও ফার্স্ট অফিসার বলপ্রীত সিং ভাটিয়ার। তিনি বলেন দুর্ঘটনার সময় ক্যাপ্টেন খান্না ও বলপ্রীত যথেষ্ট ঠাণ্ডা মাথায় শান্ত হয়ে ছিলেন। এই সময় তাঁরা খুব সুন্দর ভাবে বিমানটিকে সামলেছেন। দু’জন দক্ষ অফিসারকে নিয়ে গর্ব অনুভব করছেন গুরুচরণ।
ক্যাপ্টেন মনিকা খান্না একজন দক্ষ পাইলট। তাঁর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল বলে যে ক্যাপ্টেন খান্না দূর-দুরান্তে বেড়াতে ভালোবাসেন। তাছাড়া তিনি সাম্প্রতিক ফ্যাশন সম্পর্কেও খোঁজখবর রাখেন।
যাঁরা সেই সময়ে বিমানে আগুন লাগা দেখতে পান, তাঁরা অনেকেই এই দৃশ্যটির ভিডিও তুলেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে বিমানের বাঁ দিকের ইঞ্জিন থেকে আগুনের ফুলকি বেরোচ্ছে।
বিমানের এক কর্মী জানান, এমনটা যে হতে পারে বিমান আকাশে ওড়ার সময় সেরকম কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিকভাবেই টেক অফ করেছিল বিমান। কিন্তু আকাশে ওড়ার খানিকক্ষণের মধ্যেই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল থেকে জানানো হয় যে বিমানের ইঞ্জিন নম্বর ওয়ান থেকে আগুনের ফুলকি ও ধোঁয়া দেখা গিয়েছে।
পটনায় অবতরণ করার পর বিমান ন্দর ও স্পাইসজেটের কর্মীরা হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানান ক্যাপ্টেন খান্নাকে।