#নয়াদিল্লি: জীবনে সবাই যে অনুকূল পরিস্থিতি পায়, তা নয়। কারও পরিস্থিতি তাঁকে জীবনে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য করে তোলে। কিন্তু যাঁরা সাহসী, তাঁরা পরিস্থিতিকে নিজের মতো করে মানিয়ে নিতে পারেন। তাঁরা প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে অতিক্রম করে জীবন যাপনের সাহস দেখাতে পারেন।
আজকাল এমন একজন ব্যক্তির গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে, যিনি হুইলচেয়ার ডেলিভারি বয় হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন।
গণেশ মুরুগানের গল্প আপনাকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। তিনি বিশেষভাবে সক্ষম। তবুও তিনি আর পাঁচজনের মতো জীবনে লড়াইয়ের পথ বেছে নিয়েছেন।
নিজেকে কখনও অসহায় বোধ করেননি তিনি। হুইলচেয়ার থেকে খাবার ডেলিভারির কাজ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন গণেশ। চেন্নাইয়ের বাসিন্দা গণেশ মুরুগান অসহায় হয়ে কাঁদার পরিবর্তে নিজের জন্য একটি কঠিন, কিন্তু আত্মসম্মানজনক পথ বেছে নিয়েছেন। আজ তাঁর গল্প সমাজের কাছে উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গণেশ মুরুগানের গল্প আইপিএস অফিসার দীপাংশু কাবরা তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছেন এবং লিখেছেন- ‘তিনি সকলের জন্য অনুপ্রেরণা, যারা লড়াই করার পরিবর্তে মাথা নত করেন, তাঁরা গণেশকে দেখে অনুপ্রেরণআ পেতে পারেন।’
তিনি বলেছেন, মুরুগান দেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে হুইলচেয়ার খাবার সরবরাহকারী হয়েছেন। হুইলচেয়ারে খাবার সরবরাহ করে তিনি আজ স্বাবলম্বী। তিনি পরিস্থিতির সঙ্গে আপস না করে নিজের মতো পথ খুঁজে স্বনির্ভরতার পথ বেছে নেন।
দীপাংশু কাবরা এই পোস্টের কমেন্টে বলেছেন, গণেশ মুরুগানের এই বিশেষ হুইলচেয়ারটি আইআইটি মাদ্রাজের একটি স্টার্টআপ ডিজাইন করেছে। টু-ইন-ওয়ান মোটর চালিত হুইলচেয়ার একটি বোতাম টিপে আলাদা করা যেতে পারে। এর পিছনের অংশটি একটি সাধারণ হুইলচেয়ারে পরিণত করা যায়।
मिलिए भारत के पहले व्हीलचेयर फूड डिलीवरी बॉय गणेश मुरुगन से.वे अपनी व्हीलचेयर पर फ़ूड डिलीवरी करते है.
चेन्नई के दिव्यांग गणेश मुरुगन ने परिस्थितियों से समझौता किए बगैर रास्ता निकाला और आत्मनिर्भरता की राह थामी.वे उन सभी के लिए प्रेरणा हैं जो मुसीबतों से लड़ने की जगह झुक जाते हैं pic.twitter.com/Y4QWR49JJg— Dipanshu Kabra (@ipskabra) June 21, 2022
এখনও পর্যন্ত ওই স্টার্ট আপ এরকম ১৩০০টি হুইলচেয়ার তৈরি করে ফেলেছে। এটি ৪ ঘন্টা চার্জে ২৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। গণেশ মুরুগানের এই গল্পটি জানার পরে, লোকজন তাঁর লড়াইকে কুর্ণিশ জানাচ্ছেন।