ঘুরিয়ে আমেরিকাকেই নিশানা? যুদ্ধ নিয়ে কেন সতর্কবার্তা চিনা প্রেসিডেন্টের?

ঘুরিয়ে আমেরিকাকেই নিশানা? যুদ্ধ নিয়ে কেন সতর্কবার্তা চিনা প্রেসিডেন্টের?

নয়াদিল্লি: গোষ্ঠীবাজি (Griup Politics), দুই শিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব (Block Confrontation) এবং সামরিক বোঝাপড়া (Military Alliances) বিশ্বকে কেবলমাত্র যুদ্ধের দিকেই ঠেলে দেবে। বুধবার ব্রিকস (BRICS) বিজনেস ফোরামে এমন কথাই বললেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ওই ফোরামে keynote speech- দেওয়ার সময় এই কথা বলেন শি জিনপিং।

ন্যাটোকে নিশানা:
এর সঙ্গেই বিশ্বের সব দেশের কাছেই এই ধরনের অভ্যাস ঠেকানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি। এই বক্তব্যের পরেই আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, এই কথা বলে আদতে আমেরিকাকেই খোঁচা দিল চিন। মূলত আমেরিকার সামরিক জোট ন্যাটো (NATO)-কেই নিশানা করা হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে আমেরিকা-ইউরোপের মতো নিষেধাজ্ঞার রাস্তায় হাঁটেনি চিন। বরং কখনও নিরপেক্ষ, আবার কখনও রাশিয়ার প্রতিই ঠারেঠোরে নরম মনোভাব দেখিয়েছে চিন সরকার। এই হামলার জন্য কখনও মস্কোর নিন্দা করেনি চিন (China)। অথবা ইউক্রেনে রাশিয়া (Russia) আগ্রাসন চালিয়েছে বলেও মনে করে না চিন। বরং ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণ হিসেবে ঘুরিয়ে ন্যাটোই দায়ী বলে মনে করে চিন। এদিনের বক্তব্যেও সেই কথাও বলা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখনও চলছে ইউক্রেন-রাশিয়ার দ্বন্দ্ব। বিপুল প্রাণহানি, সম্পত্তিহানির পরেও থামেনি। লাভ হয়নি আলোচনাতেও। এরই মধ্যে যুদ্ধ শুরু প্রথম থেকেই আমেরিকা (USA) ও তার সহযোগী দেশগুলি পরপর রাশিয়ার উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা চাপাতে থাকে। এখনও বলবৎ রয়েছে সেই নিষেধাজ্ঞা। সেই রাস্তায় হাঁটেনি ভারত, চিন-সহ বহু দেশ। ব্রিকসের মঞ্চে নিষেধাজ্ঞাকেও একহাত নিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। বিশ্ব অর্থনীতির রাজনীতিকরণের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বিশ্ব অর্থনীতিতে ভাল জায়গায় থাকার সুযোগ নিয়ে সেটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কড়া সমালোচনা করেছেন শি জিনপিং। এর ফলে সবার অর্থনীতিই ধাক্কা খাবে, যে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে সেও বাদ যাবে না বলেই হুঁশিয়ারি শি জিনপিংয়ের ( XI Jinping) গলায়।

নজরে কোয়াড?
শি জিনপিংয়ের মন্তব্যের মূল বিষয় ন্যাটো হলেও, মঞ্চে ভারত থাকায় কোয়াড (QUAD) নিয়েও কি বার্তা দিয়ে রাখলেন চিনা প্রেসিডেন্ট? ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় কৌশলী সামরিক বোঝাপড়া বাড়াতে ‘কোয়াড’ গড়েছে আমেরিকা। এতে রয়েছে আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত। যদিও চিন বরাবর এটিকে সামরিক মঞ্চ হিসেবেই দেখে এসেছে। এটিকে ‘এশিয়ান ন্যাটো’ হিসেবেই মনে করে চিন। কোয়াডে ভারতের থাকা নিয়ে আপত্তি লুকোয়নি চিন।

(Source: abplive.com)