
ভূমিকম্প যে কোনও সময়, অজান্তেই ধেয়ে আসতে পারে, এমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগে সাবধান হয়ে যাওয়াও জরুরি। কারণ সোমবার সকালে দিল্লি এনসিআর-এ খুব শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (এনসিএস) অনুসারে, সোমবার ভোর ৫:৩৬ মিনিটে দিল্লি-এনসিআরে ৪.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এমন পরিস্থিতিতে, পরের বার ভূমিকম্প হওয়ার আগেই আপনি এই সতর্কতা বা অ্যালার্ট পেয়ে যাবেন আপনার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের মাধ্যমেই। এর জন্য অন করা যেতে পারে একটি দারুণ কিন্তু অজানা সেটিংস।
ভূমিকম্প সতর্কতা ফিচারটি কীভাবে ব্যবহার করবেন
ফোনে ভূমিকম্পের সতর্কতা পেতে, একটি ফিচার সক্রিয় করতে হবে। অ্যালার্ট পেতে, ফোনে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। এছাড়াও, ভূমিকম্প অ্যালার্ট করার জন্য লোকেশনও চালু করতে হবে। এই ফিচার কীভাবে সক্রিয় করবেন:
- আপনাকে ফোনে সেটিংস খুলতে হবে।
- ‘সেফটি অ্যান্ড ইমার্জেন্সি’ এমন ধরনের কোনও অপশন থাকলে সেখানে হবে।
- ‘আর্থকোয়েক অ্যালার্ট’-এ ট্যাপ করুন।
- এটি চালু করতে হবে।
এই ফিচারটি কীভাবে কাজ করে
অ্যান্ড্রয়েডের ভূমিকম্প সতর্কতা বা আর্থকোয়েক অ্যালার্ট ফিচার বেশ কয়েকটি বিষয় পরিমাপ করে।
- সেন্সরের ব্যবহার – অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলিতে অ্যাক্সিলোমিটার এবং জাইরোস্কোপের মতো সেন্সর থাকে, যা ভূমির কম্পন পরিমাপ করতে সাহায্য করে। যখন এই সেন্সরগুলি হালকা ভূমিকম্পের কম্পন শনাক্ত করে, তখন স্মার্টফোনটি সেই তথ্য গুগলের সিস্টেমে পাঠায়।
- ক্লাউড –ভিত্তিক ডেটা প্রসেস – গুগলের সিস্টেম তাৎক্ষণিকভাবে এই ডেটা প্রক্রিয়া করে এবং ভূমিকম্পের আকার এবং অবস্থান অনুমান করে। এর পরে ব্যবহারকারীদের কাছে একটি সতর্কতা পাঠানো হয়।
- স্মার্টফোনের নেটওয়ার্ক ব্যবহার: ভূমিকম্প শনাক্ত হওয়ার পর, গুগলের পরিষেবা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবহারকারীদের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে অ্যালার্ট পাঠানো হয়।
সবসময় কি এই অ্যালার্ট সত্য হয়
গুগলের মতে, আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্ভুল হয়। এটি ছোট ছোট ভূমিকম্পও শনাক্ত করতে পারে, যা সাধারণত অনুভূত হয় না। যদিও গুগলের এই ফিচারটি নিয়ে অনেকবারই প্রশ্ন উঠেছে। যেমন গুগলের এই ফিচার ব্রাজিলে সক্রিয় নয়। এটি বন্ধ করার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে যে এটি ভুয়ো তথ্য প্রদান করে। যার কারণে মানুষ বিরক্ত হতে পারে।
(Feed Source: hindustantimes.com)