
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কয়েকঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে চিলেতে। চিলের পাওয়ার গ্রিডগুলিতে আস্তে আস্তে প্রাণ ফিরছে। বড় বড় কপার খনিগুলিতেও আসছে বিদ্যুৎ। চিলে হল সারা বিশ্বের মোট তামার অন্যতম উৎসস্থল। সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়াটা খুবই ইতিবাচক।
গতপরশু রাত থেকে দুর্বিষহ অবস্থা চিলেতে। লাতিন আমেরিকার দেশ চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো-সহ দেশের বেশিরভাগ অংশে জরুরি অবস্থা এবং কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানে বিশাল মাপের ব্ল্যাকআউটের ঘটনা ঘটেছে। এর জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন। বলা হচ্ছে, এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ ব্ল্যাকআউটের ঘটনা এটি। এর ফলে সান্তিয়াগো শহরে যানবাহন চলাচলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার মানুষ মেট্রো থেকে নেমে পড়েছেন। উপচে পড়া ভিড় বাসগুলিতে।
চিলির মেট্রোতে প্রতিদিন ২.৩ মিলিয়ন যাত্রী চলাচল করেন। এহেন মেট্রো কোম্পানি গতকালই জানিয়েছিল, যাত্রীদের নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দিতে সমস্ত স্টেশনে কর্মী মোতায়েন করেছে তারা। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ট্র্যাফিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যার থেকে হয়েছিল ব্যাপক যানজট। মানুষজনকে বাড়িতে পৌঁছনোর জন্য প্রচণ্ড রোদের মধ্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হেঁটে যেতে হয়েছিল গতকাল সারাদিন। দোকানপাট এবং অফিসগুলি তাড়াতাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। গোটা দেশে শান্তি বজায় রাখতে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাও। বিমান ও ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধেবেলা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক বলেছেন, একটি বিপর্যয় ঘটেছে। এর জেরে বিঘ্নিত হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা। তবে সেটা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করা হয়। চিলির উত্তরের আরিকা অঞ্চল থেকে দক্ষিণের লস লাগোস পর্যন্ত কারফিউ জারি হয়।
কেন এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়? এ প্রসঙ্গে চিলির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের একটি সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে ত্রুটি ধরা পড়েছে। তাই এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়। কোনও নাশকতা ঘটেছে? নাশকতার আশঙ্কা অবশ্য তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন।
বুধবারের মধ্যে চিলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক হতে পারে বলে শোনা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকাল হতে না হতেই চিলেতে জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
(Feed Source: zeenews.com)
