হতাশ বান্ধবীর মন ভালো করতে কোলে বসিয়ে বাইক চালাল প্রেমিক, পাকড়াও করল পুলিশ

হতাশ বান্ধবীর মন ভালো করতে কোলে বসিয়ে বাইক চালাল প্রেমিক, পাকড়াও করল পুলিশ

হতাশ ছিলেন বান্ধবী। তাই বান্ধবীকে খুশি করতে কোলে বসিয়েই ব্যস্ত রাস্তায় বাইক চালালেন প্রেমিক। তবে এর জন্য খেসারতও দিতে হল প্রযুক্তিবিদ প্রেমিককে। সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই কড়া ব্যবস্থা নিল পুলিশ। ট্র্যাফিক আইন ভঙ্গ করায় প্রেমিকের ঠাঁই হল জেলে। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর। যদিও পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে যান যুবক। তবে সাম্প্রতিক সময়  এই ধরনের ঘটনা যেভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে একটি বিবৃতিতে সকলকে সতর্ক করেছে পুলিশ।

রিপোর্ট অনুযায়ী, শারজাপুর মেইন রোডে বান্ধবীকে কোলে বসিয়ে বাইক চালিয়েছিলেন ওই যুবক। কেউ একজন এই ঘটনার ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দী করেন। পরে সেটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ওঠে। বিষয়টি নজরে আসতেই স্বতঃপ্রণোদিতভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বেলান্দুরের বাসিন্দা ওই যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২৮১ ধারা (ব্যস্ত রাস্তায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো বা বাইক চালানো) এবং মোটরযান আইনের অধীনে মামলা করে পুলিশ।

তদন্তে জানা গিয়েছে, যে ওই যুবক এবং তাঁর বান্ধবী দুজনেই চেন্নাই থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ বাইকে উঠেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, দু’বছর আগে যুবক বেঙ্গালুরুতে এসেছিলেন। গত বছর তাঁর বান্ধবী চেন্নাইয়ে আসেন। গ্রেফতারের পর যুবক বলেন, ‘কোনও কারণে আমার বান্ধবী হতাশ ছিল। তাই আমি তাকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলাম। তারপরেও মন মেজাজ খারাপ ছিল। তাই আমি ওকে কোলে বসতে বলি। আমি শারজাপুর মেইন রোড ধরে বাইক চালাচ্ছিলাম। কিন্তু, আমি কখনই বুঝতে পারিনি যে এই বিষয়টির জন্য আমাকে থানায় যেতে হবে।

অভিযুক্ত প্রযুক্তিবিদ দাবি করেছেন, যে তাঁর বাইকটি তামিলনাড়ুতে রেজিস্ট্রেশন করা। যদিও বাইক এখনও বাজেয়াপ্ত করতে পারেনি পুলিশ। একজন পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত সোমবার চেন্নাইয়ে বাইক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তিনি যখন এটি নিয়ে আসবেন, তখন বাইক বাজেয়াপ্ত করা হবে। বেঙ্গালুরুর পুলিশ সুপার জেলা পুলিশের এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিয়োটি শেয়ার লিখেছেন, ‘বেপরোয়া বাইক স্টান্ট করে ভালোবাসা প্রদর্শন করা যাবে না, এটি আইনের লঙ্ঘন।’

(Feed Source: hindustantimes.com)