নিজস্ব প্রতিবেদন: সাল ১৯৮৭, তারিখ ২৪ জুন। আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মানো বাচ্চাটা পায়ের সমস্যার জন্য বছরে পর বছর ভুগেছিল। মাত্র ১১ বছর বয়সে গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি (হরমোনের প্রভাবে শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি থেমে যাওয়া) ধরা পড়েছিল। রাতের পর রাত পায়ের মধ্যে সূঁচ ফুটিয়ে চিকিৎসা হয়েছে। তিন বছর এভাবে চলেছিল। পিট্যুইটারি গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনের তারতম্যের জেন্যে তাঁর শারীরিক বৃদ্ধি থেমেছিল একটা সময়। দীর্ঘ চিকিৎসার পর বাচ্চাটা সেরে ওঠে ঠিকই। কিন্তু পরে তাঁর ওই পা-ই গোটা বিশ্বকে কাঁদিয়ে দিল। বাঁ-পায়ের জাদুকরকে গোটা পৃথিবী চেনে লিওনেল মেসি (Lionel Messi) নামে। আজ ৩৫ বছরে পা দিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিও মেসি।
বিশেষ দিনে দেখে নেওয়া যাক ১০ নম্বর জার্সিধারীর অজানা ১০ কাহিনী
১) মেসির আরেক নাম ‘The Flea’। ক্ষীপ্রতা এবং গতির জন্যই মাছির সঙ্গে তাঁর তুলনা টানা হয়।
২) বিশ্বের অন্যতম ধনী ফুটবলারদের একজন মেসি।
৩) কার্লস রেক্স্যাচ ছিলেন বার্সেলোনার প্রথম টিম ডিরেক্টর। খুদে মেসির প্রতিভায় তিনি এতটাই মোহিত ছিলেন যে, তাঁকে সই করানোর জন্য কাল বিলম্ব করেননি। সেই মুহূর্তে কোনও কাগজ হাতের কাছে না থাকায়, টিস্যু পেপারেই মেসির চুক্তি সই করা হয়েছিল।
৪) ২০০৩ সালে মেসি বার্সার হয়ে অভিষেক করেন এসপ্যানিওলের বিরুদ্ধে। ১৭ বছর বয়সে মেসি কাতালুনিয়ান ক্লাবের হয়ে অভিষেক করেছিলেন। বার্সার ইতিহাসে তৃতীয় কম বয়সী ফুটবলার হিসাবে অভিষেক হয় মেসির। এমনকী মেসি বার্সার হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার নজিরও গড়েন।
৫) মেসির রয়েছে দুই দেশের পাসপোর্ট। জন্মসূত্রে মেসির রয়েছে আর্জেন্তিনার পাসপোর্ট। ২০০৫ সালে স্পেনের নাগরিকত্ব পান তিনি।
৬) ২০০৮ সালে মেসি ১০ নম্বর জার্সি পেয়েছিলেন বার্সার ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনাল্ডিনহোর সঙ্গে।
৭) ২০০৯ সালে প্রথমবার মেসি ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছিলেন।
৮) রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন মেসিকে প্রস্তাব দিয়েছিল স্পেনের হয়ে খেলার জন্য়। তবে মেসি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেন।
৯) মেসি লিও মেসি ফাউন্ডেশন শুরু করেন শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে।
১০) বার্সেলোনা ছাড়ার পর মেসি প্যারিস সাঁ জাঁ-তে ফরোয়ার্ড হিসাবে খেলা শুরু করেছেন।
(Source: zeenews.com)