
দুবাই: মাঝে আর ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়। রবিবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির (Champions Trophy 2025) ফাইনালে মাঠে নামছে ভারত ও নিউজ়িল্যান্ড। আর সেই ম্যাচে ভারত খেলবে পয়মন্ত বাইশ গজে।
কেন? কারণ, ভারত বনাম নিউজ়িল্যান্ড (Ind vs NZ) ফাইনাল হওয়ার কথা সেই পিচে, যেখানে ভারত খেলেছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে হেলায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলকে উড়িয়ে দিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।
২৩ ফেব্রুয়ারি, গ্রুপ এ-তে ছিল হাইভোল্টেজ ভারত বনাম পাকিস্তান দ্বৈরথ। সেই ম্যাচ খেলা হয়েছিল যে পিচে, তা ছিল মন্থর গতির। বল পড়ে থমকে আসছিল। স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়েছিলেন। সেই পিচেই ভারত বনাম নিউজ়িল্যান্ড ফাইনাল হওয়ার কথা। আর তাতে যে ভারতের সুবিধাই হবে, মেনে নিচ্ছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
সেই ম্যাচে আগে ব্যাট করে ভারতীয় বোলারদের সামনে শুরু থেকেই চাপে ছিল পাকিস্তান। কুলদীপ যাদব, অক্ষর পটেল ও রবীন্দ্র জাডেজার স্পিন ত্রয়ী নিজেদের মধ্যে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। তখনও বরুণ চক্রবর্তী ভারতের নকশায় ছিলেন না। বরুণ যেরকম ছন্দে রয়েছেন, তাতে রবিবার ভারতের স্পিন চতুর্ভুজ আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।
দুবাইয়ের পিচ থেকে বোলাররাই বেশি সাহায্য পাচ্ছেন। এই মাঠে এখনও পর্যন্ত চার ম্যাচে ইনিংসে গড় রান উঠেছে ২৪৬। সেমিফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার ২৬৪ রান ও ৪৯তম ওভারে সেই রান তাড়া করে ভারতের জয়ই এই মাঠে এখনও পর্যন্ত চলতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ দলগত স্কোরের নজির। যেখানে পাকিস্তানের মাটিতে হওয়া ১০টি ম্যাচে গড় রান ২৯৫।
দুবাই ক্রিকেট মাঠে ১০টি পিচ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার কিউরেটর ম্যাথু স্যান্ডারি পিচ পরিচর্যার কাজ করেন। তবে সব উইকেটই একই রকমের। মন্থর গতির, স্পিনারদের জন্য থাকছে সাহায্য।
তবে ভারতীয় শিবির উইকেটের চরিত্র নিয়ে খুব একটা ভাবছে না বলে জানালেন সহকারী ব্যাটিং কোচ সীতাংশু কোটাক। তিনি শুক্রবার বলেছেন, ‘প্রত্যেক ম্যাচে উইকেটের সামান্য পরিবর্তন হচ্ছে। ব্যাটিং কোচ হিসাবে আমি ব্যাটারদের মান কীভাবে নির্ধারণ করব। উইকেট সামান্য পাল্টালেও আবহাওয়ার তেমন বদল হয়নি। তবে আমাদের ব্যাটিং দারুণ হয়েছে। আমাদের শুরুটা সৌভাগ্যক্রমে ভাল হচ্ছে। তারপর মিডল অর্ডার ব্যাটাররা বড় ইনিংস গড়ছে।’
(Feed Source: abplive.com)