
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দিল্লি কি আবারও কোভিড(Covid)মতো মহামারীর (Epidemic)মুখোমুখি হতে চলেছে? আবারও কি দেশ অচল হতে চলেছে? ডাক্তাররা এখনও সেরকম ভয়ের কিছু দেখছেন না, কিন্তু দিল্লি হাসপাতালগুলোর পরিসংখ্যান কিন্তু অন্য কথা বলছে। গত কয়েক ঘন্টায়, রাজধানীতে (Capital) ফ্লুর তীব্র বৃদ্ধি দেখা গেছে — বেশিরভাগই H1N1 (সোয়াইন ফ্লু) এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা বি (Influenga B)এর সাথে সম্পর্কিত। হাসপাতালগুলি রোগীদের উপচে পড়া ভিড়। সরকার জরুরি নির্দেশিকা (Circular)জারি করার সম্ভাবনা রয়েছে দিল্লি সরকারের।
আবহাওয়া পরিবর্তনের (Weather Change) সঙ্গে সঙ্গে, রাজধানীতে ফ্লু আক্রান্তের সংখ্যা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিশেষ করে H1N1 (সোয়াইন ফ্লু) এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা-বি। ক্রমবর্ধমান এই সমস্যার মধ্যে দিল্লি সরকার পরিস্থিতি বিচার করে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নির্দেশিকা জারি করার জন্য একটি মিটিং ডাকতে পারে। সর্বশেষ খবর অনুসারে, দিল্লি রাজধানী অঞ্চল ( জুড়ে হাসপাতালগুলিতে ১০২ ডিগ্রির জ্বর, দীর্ঘস্থায়ী কাশি (Prolonged Cough and Cold),চরম ক্লান্তি(Fatigue)এবং শ্বাসকষ্টজনিত(Breathing Trouble) সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এই মরশুমের ফ্লু একেবারেই আলাদা। সব বয়সের মানুষকে প্রভাবিত করেছে, অনেক ক্ষেত্রেই স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক সপ্তাহ বেশি থাকছে লক্ষণগুলি।
উপচে পড়া হাসপাতালগুলির কারণে সরকার নির্দেশিকা জারি করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। ডাক্তারদের মতে, বেশিরভাগ রোগী গুরুতর শ্বাসকষ্টের লক্ষণ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন (অনেকটা COVID-19 সংক্রমণের মতো)। চিকিৎসা পরিষেবাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুস্থ হতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় লাগছে এবং কিছু রোগীর নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস (Bronchities)ইত্যাদির মতো গুরুতর লক্ষণও দেখা যাচ্ছে।
দিল্লি সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক করে দিয়েছে যে, যদি অবিলম্বে ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তবে আগামী সপ্তাহগুলিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। ৫৪ শতাংশের বেশি পরিবার আক্রান্ত। অনেক হাসপাতালে সিট ফুরিয়ে যাচ্ছে। বেশিরভাগ জরুরি দফতর শ্বাসকষ্ট এবং অক্সিজেনের অভাব-সহ ফ্লুর গুরুতর লক্ষণ রোগীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে । এইমস (AIMS), সফদরজং এবং লোকনায়ক হাসপাতালের(LokNayak Hospital) মতো সরকারি হাসপাতালগুলিতে বর্তমানে তাদের ফ্লু ওয়ার্ডে পূর্ণ। অন্যদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিও রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
অক্সিজেন সাপোর্ট এবং ICU এমন ক্রমবর্ধমান সংখ্যক রোগীর সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দিল্লির এক শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালের সিনিয়র পালমোনলজিস্ট ডাক্তার অমিত শর্মা বলে “আমরা দেখছি যে নিউমোনিয়া(Pneumonia)এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা জনিত সিন্ড্রোম (ARDS)এর মতো জটিল রোগের স্বীকার তরুণ এবং বয়স্করা। এই সংখ্যা উদ্বেগজনক। এই বছরের ফ্লু স্ট্রেন আরও আক্রমণাত্মক বলে মনে হচ্ছে, এবং কিছু ক্ষেত্রে, আমরা এমনকি COVID-19 এর সাথে সহ-সংক্রমণও দেখতে পাচ্ছি, যা চিকিৎসাকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলছে।”
(Feed Source: zeenews.com)