Narasimha Temple: এখানেই ভগবান নৃসিংহদেব পাথরের স্তম্ভ ভেঙে বেরিয়ে এসে বধ করেছিলেন রাক্ষসরাজ হিরণ্যকশিপুকে…

Narasimha Temple: এখানেই ভগবান নৃসিংহদেব পাথরের স্তম্ভ ভেঙে বেরিয়ে এসে বধ করেছিলেন রাক্ষসরাজ হিরণ্যকশিপুকে…

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দোলের ঠিক আগের দিনে হয় হোলিকা দহন। অশুভ শক্তিকে পুড়িয়ে শুভ শক্তির জয়গান। শীতের জড়ত্বকে নষ্ট করে দিয়ে বসন্তের উদযাপনও তা। আর এই হোলিকা দহনের সঙ্গেই জড়িত প্রহ্লাদের কাহিনি। এবছর হোলিকা দহন হবে ১৩ মার্চ সন্ধেবেলায়।

হোলি বা দোল খুব বড় মাপের উৎসব। সারা ভারতের উৎসব, সমস্ত মানুষের উৎসব। ধর্মীয় উৎসব, পাশাপাশি সামাজিক উৎসবও। দোল প্রেম, আনন্দ, ভালোবাসার উৎসব। সবচেয়ে বড় কথা, তা রঙের উৎসব। কবে এবার হোলি? ১৪ মার্চ, না ১৫ মার্চ?

হোলি বা দোল সাধারণত দুটি ভাগে হয়। হোলিকা দহন, আর রঙ্গোলি হোলি। প্রথমটিকে বলে ছোটি হোলি,  দ্বিতীয়টিকে ধুলন্ডি বা ফাগুয়া। হোলিকা দহনের নির্দিষ্ট সময় থাকে। পুরোহিতের সঙ্গে কথা বলে এর দিনক্ষণতিথিমুহূর্ত ইত্যাদি জানতে হয়। সাধারণত এটি সন্ধেবেলায় হয়। আর এবছর রঙ্গোলি বা ফাগুয়া বা ধুলন্ডি বা দোল বা রং-খেলা হবে ১৪ মার্চ। একে অপরের গায়ে রং দেওয়া, এদিনই। তবে হোলিকা দহনের মতো রঙ্গোলি বা ফাগুয়া বা ধুলন্ডি বা দোল বা রং-খেলার কোনও নির্দিষ্ট মুহূর্ত নেই। রং সাধারণত সারা দিন ধরেই খেলা হয়।

এবার পূর্ণিমা কিন্তু পড়ছে ১৩ মার্চ, সকাল ৬টা০৫-য়েই। পূর্ণিাম শেষ হচ্ছে পরদিন ১৪ মার্চ সকাল ৭টা ৫৩ মিনিটে। দোল সারা ভারতে পালিত হলেও তা ব্রজধাম, মানে মথুরা-বৃন্দাবন, গোকুল, নন্দগাঁও, গোবর্ধন, বরসানায় অতি বিশিষ্ট। রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলাই এর উপজীব্য। দোল অশুভের উপর শুভের জয়, অপ্রেমের উপর প্রেমের জয়।

কিন্তু এরই মধ্যে প্রহ্লাদের স্মৃতিবিজড়িত এক মন্দির নিয়ে খুব চর্চা হচ্ছে। পাকিস্তানের মুলতানে আজ যেখানে প্রহ্লাদপুরী মন্দির, সেখানেই একদিন প্রহ্লাদের পিতা দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুকে বধ করেছিলেন নৃসিংহরূপী নারায়ণ। আগে এই মুলতানের নাম ছিল কাশ্যপুর। এখানেই নৃসিংহদেবকে উদ্দেশ্য করে প্রহ্লাদ এই মন্দির তৈরি করিয়ে দিয়েছিলেন। বহিঃশত্রুর আক্রমণে এটি বারবার ভেঙে যায়। উনিশতকরে প্রথম দিকে এটি নির্মাণও করে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও এই মন্দিরের উপর নানা আক্রমণ এসেছে। আজও এই মন্দির এক ধ্বংসাবশেষ হিসেবেই পড়ে আছে!

(Feed Source: zeenews.com)