
২০১৯ এ ব্রিটিশ ভগের একটি সাক্ষাৎকারে বিখ্যাত হ্যারি পটার সিরিজের অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন বলেছিলেন, “একা থাকা মানেই একাকীত্ব নয়, একা থাকা মানে নিজের সঙ্গে থাকা। আত্মসঙ্গও একটি অর্থপূর্ণ সঙ্গ।” বর্তমানে অনেকেই তাই ‘সেল্ফ ডেটে’ যাচ্ছেন, হয়তো একা একাই সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন অথবা একাই ক্যাফেতে বসে এক কাপ কফি উপভোগ করছেন। তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক একাকীত্ব কাটানোর ৫টি কার্যকর উপায়।
১. সৃজনশীল কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখা
নিজেকে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখলে একাকীত্বের অনুভূতি অনেকটাই কমে যায়। ছবি আঁকা, লেখালেখি, গানের চর্চা কিংবা হাতের কাজ শেখার মতো সৃজনশীল কাজে মনোযোগ দিলে মন ভালো থাকে। এ ধরনের কাজ শুধু সময় কাটাতে সাহায্য করে না, বরং আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও সহায়তা করে।
২. সামাজিক যোগাযোগ বাড়ানো
বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানো একাকীত্ব ঘোচানোর অন্যতম ভালো উপায়। যাদের সঙ্গে সহজেই মন খুলে কথা বলা যায়, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। বিভিন্ন বুক রিডিং ক্লাবের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারেন।
৩. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা
শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য একে অপরের সঙ্গে জড়িত। নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করলে মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করার অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালে বা বিকেলে কাছাকাছি পার্কে হাঁটতে বা দৌড়াতে যেতে পারেন। শরীরে রক্ত চলাচল সঠিকভাবে হলে মনও ভালো থাকে।
৪. স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করা
অন্যদের সাহায্য করার মাধ্যমে নিজেকে অর্থবহ ও মূল্যবান করে তোলা যায়। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রমে যুক্ত হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ালে একাকীত্বের অনুভূতি অনেকটাই কমে আসে। এটি সামাজিক সংযোগ বৃদ্ধিতেও সহায়ক।
৫. নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া
নিজের মনের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। ধ্যান, যোগব্যায়াম বা নিজের পছন্দের কাজে মনোযোগ দিলে মানসিক চাপ কমে যায়। ঘরে একা থাকলে নিজের পছন্দের কোনও পদ রান্না করতে পারেন। শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন।
ছবি তুলতে পছন্দ করলে ছুটির দিনে ক্যামেরা হাতে বেরিয়ে পড়ুন রাস্তায়। খোলা বাতাস প্রকৃতির মাঝে সময় কাটান, পারলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকুন। অনেক সময়ই এটি আমাদের মধ্যে এক ধরনের FOMO বা Fear of missing Out এর অনুভূতি তৈরি করে। সর্বোপরি, নিজেকে ভালোবাসা ও নিজের প্রতি যত্নশীল হওয়া একাকীত্ব কাটানোর অন্যতম উপায়।
নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে একাকীত্বের নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে জীবনকে আনন্দময় করা যায়। নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের যত্ন নিন এবং অন্যদের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা কথার ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ না করার অনুরোধ করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য নিয়ে যে কোনও প্রশ্ন, যে কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য চিকিৎসক বা পেশাদার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
(Feed Source: hindustantimes.com)
