এবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মর্মে বিধানসভায় বিল পাশ হল। নিয়ম অনুযায়ী বিল পাশ হওয়ার পর তা পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছে। অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মত এখনও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বা আলিয়া-ই-জামিয়া পদে রয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আলিয়া-ই-জামিয়ার পদ থেকে তাঁকে অপসারণ করাতে চাইছে রাজ্য। সেই মর্মে এই বিল পাশ করা হয়েছে।
গতকাল রাজ্য বিধানসভায় বিলটি পেশ করেন সংখ্যালঘু মাদ্রাসা উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী গোলাম রাব্বানী। স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে আপত্তি ছিল বিরোধীদের। তবে ভোটাভুটি হলে তাতে বিরোধীদের হার ছিল নিশ্চিত ছিল। তাই বিধানসভায় এদিন ধ্বনি ভোটে বিলটি পাশ হয়ে যায়। একইসঙ্গে, রিডার এবং লেকচারারদের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মর্যাদা দেওয়া হয় এই বিলে।
উল্লেখ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল এবার থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করা হবে মুখ্যমন্ত্রীক। রাজ্যপালকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদ থেকে সরানো নিয়ে ইতিমধ্যেই বিল পাশ হয়েছে। রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত রাজ্যের ল যদিও এই সংক্রান্ত বিল এখনও রাজ্যপালের সম্মতি মেলেনি। কারণ রাজ্যপাল আগেই জানিয়েছিলেন তিনি এই বিলে সই করবেন না। পরে অবশ্য তিনি জানান বিল যাচাই করে দেখবেন।
নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যপাল বিলে সই না করলে সে ক্ষেত্রে ফের রাজ্য বিধানসভায় চলে যাবে বিলটি। তারপর তা আরও একবার পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছে। তবে শিক্ষা সংবিধানের যুগ্ম তালিকায় রয়েছে সে ক্ষেত্রে তিনি চাইলে বিলটি কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন। সুতরাং বলা যায় বিধানসভায় বিল পাশ হলেও তাতে সম্মতি ছাড়া এখনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে বসতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী।
(Source: hindustantimes.com)