নজির গোটা জেলার মানুষের কাছে। ‘বর্ণপরিচয়’ হাতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ কেন? নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করে অধ্যাপক কর জানিয়েছেন।
বর্ণপরিচয় হাতে প্রবেশ
পশ্চিম মেদিনীপুর: নতুন দায়িত্ব নিয়ে বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় হাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রবেশ করলেন নতুন উপাচার্য। বিদ্যাসাগরের জেলা মেদিনীপুর। সেই মেদিনীপুরে বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন দীপক কুমার কর। সোমবার মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন অধ্যাপক দীপক কুমার কর। তবে, তাঁর প্রথম প্রবেশেই ছিল চমক, অভিনবত্ব! বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি প্রবেশ করেন ঈশ্বরচন্দ্র প্রণীত ‘বর্ণপরিচয়’ হাতে। স্বাভাবিকভাবে তার এই অনন্য ভাবনা নজির গড়েছে জেলার মানুষের কাছে। কাঁচা পাকা চুল মাথায়, পরনে কোট টাই। তবে হাতে বিদ্যাসাগরের বর্ণপরিচয় বই। পুষ্পবৃষ্টি আর জয়ধ্বনির মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্যকে স্বাগত জানালো পড়ুয়ারা।
তবে এমন নজির গোটা জেলার মানুষের কাছে। ‘বর্ণপরিচয়’ হাতে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ কেন?নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করে অধ্যাপক কর জানিয়েছেন, “বর্ণপরিচয় আমাদের সকল বাঙালির শিক্ষার প্রারম্ভিক ভিত্তি। ‘বর্ণপরিচয়’ আমাদের শক্তি। আর সেই বর্ণপরিচয়ের স্রষ্টার নামাঙ্কিত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করছি উপাচার্য হিসেবে। এ বড় গর্বের, আনন্দের। মনে হচ্ছিল যেন স্বয়ং বিদ্যাসাগর মশাই আমার সঙ্গেই আছেন। বর্ণপরিচয় হাতেই আমি আজ গোটা ক্যাম্পাস ঘুরেছি। তারপর দায়িত্ব গ্রহণ করেছি।”
প্রসঙ্গত নতুন স্থায়ী উপাচার্য, অখণ্ড মেদিনীপুরের সন্তান। অধুনা পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির সাতমাইলে জন্ম।পূর্ব মেদিনীপুরের বাসুদেবপুর হরিপ্রিয়া ইনস্টিটিউশনের ছাত্র। কলেজ স্তর থেকে কলকাতায় পড়াশোনা। উল্লেখ্য, এর আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) এবং পুরুলিয়ার সিধো কানো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অধ্যাপক দীপক কুমার কর। এখনও তিনি কলেজ সার্ভিস কমিশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন।
তবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নজির সৃষ্টি করেছে জেলা জুড়ে। যেই বিদ্যাসাগর পরিচয় করিয়েছে বর্ণের, সেই বিদ্যাসাগর নামাঙ্কিত বিদ্যালয়ে এসে প্রথমে শ্রদ্ধা জানালেন তিনি।, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, গবেষক, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও শিক্ষাকর্মীদের সাথে মিলিত হয়ে এবং তাঁদের আন্তরিকতা ও অভ্যর্থনায় তিনি ‘আপ্লুত’ বলেও জানিয়েছেন অধ্যাপক কর। কোন কাজের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেবেন? বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য বলেন, “এই তো সবে পৌঁছেছি। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সব ঠিক করে ফেলব।” নবনিযুক্ত স্থায়ী উপাচার্যকে পেয়ে খুশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, গবেষক, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরাও।
রঞ্জন চন্দ
(Feed Source: news18.com)