দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডের অভিজাত এলাকা সামারসেট কাউন্টিতে ৩ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে প্রাসাদ তৈরি করেন সারা বেনি। প্রতিবেশীরা এই বাড়িটিকে ‘মিনি ডাউনটাউন অ্যাবে’ নামেই চেনেন।
লন্ডন: লন্ডন বাড়ি তো নয় যেন রাজপ্রাসাদ! খরচও হয়েছে তেমন। ৩১ কোটি টাকা। কোনও কার্পণ্য করেননি সারা বেনি। কিন্তু টিভি শো-তে যাওয়াই কাল হল। সেখানে এমন কিছু বলে ফেলেন, মামলা গড়ায় আদালতে। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সেই বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডের অভিজাত এলাকা সামারসেট কাউন্টিতে ৩ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে প্রাসাদ তৈরি করেন সারা বেনি। প্রতিবেশীরা এই বাড়িটিকে ‘মিনি ডাউনটাউন অ্যাবে’ নামেই চেনেন। আসলে জনপ্রিয় ব্রিটিশ সিরিজ ‘ডাউনটাউন অ্যাবে’-তে এই বাড়িটি দেখানো হয়েছিল। সেখান থেকেই এমন নাম।
বাড়ির ডিজাইন করেছেন সারা এবং তাঁর পরিবার। ২২০ একর জমির উপর জর্জিয়ান স্থাপত্যশৈলীতে তৈরি। রয়েছে একাধিক বেডরুম, আধুনিক বাথরুম, বিশাল রান্নাঘর, বিলাসবহুল লিভিং রুম এবং ব্যক্তিগত লাইব্রেরি। বাইরের অংশে নয়নাভিরাম বাগান ও বিশাল খোলা জায়গা। এখানেই পরিবারের সবাই হইহুল্লোড়ে মেতে ওঠেন। বাড়ি তৈরিতে পরিবেশবান্ধব উপকরণ ও প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। রয়েছে আধুনিক সমস্ত সুযোগসুবিধাও।
চ্যানেল ৪-এ একটি শোতে কথায় কথায় সারা বলে ফেলেছিলেন, বাড়িটি বিনা অনুমতিতেই বাড়িয়েছেন তিনি। মূলত, নতুন বাড়ি তৈরির জন্য প্রাথমিক অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এই শর্তে যে ১৯৭০-এর দশকের ফার্মহাউস ও তার চারপাশের অন্যান্য ভবন ভেঙে ফেলা হবে। কিন্তু এর পরিবর্তে, সারা বেনি পুরনো কাঠামো রেখে, তার উপরে বাড়াতে থাকেন। বাড়ির চত্বরেই পার্ক বানান। বোটহাউস, গ্রীনহাউস ও বুট রুম-সহ অত্যাধুনিক বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করেন। এখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত হয়।
২০২৪ সালে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে সারা বেনি নিজেই বাড়ির প্রশংসা করে বলেন, ‘‘ডাইনিং রুম আমার সবচেয়ে পছন্দের। দেওয়ালে সোনালি প্লাস্টার, তার উপর অত্যন্ত সূক্ষ কারুকাজ, খুব শৈল্পিকভাবে সাজানো হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, বাচ্চাদের জন্য দুটি লাইব্রেরি, একটি লিভিং রুম, স্পোর্টস রুম ও মিউজিক রুম তৈরি করেছেন তিনি। পুরোটাই সাজিয়েছেন নিজেদের পছন্দ মতো।
সারার বক্তব্য সরকারি কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এরপরই বাড়িরর বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। শেষমেশ বিষয়টি আদালতে গড়ায়। প্রায় এক বছর মামলা চলার পর বিচারকরা বাড়ি ভেঙে ফেলার রায় দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে সারার। একটা বেফাঁস মন্তব্যের জেরে যে এমন হতে পারে স্বপ্নেও ভাবেননি তিনি।
(Feed Source: news18.com)